‘ভোট ডাকাতি’ ও ‘কারচুপির’ অভিযোগ এনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচন বাতিল চেয়ে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে’ মামলা করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। একইসঙ্গে তিনি ওই সিটিতে নতুন নির্বাচনের দাবিও করেছেন মামলায়।
সোমবার (২ মার্চ) ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালত-১ এর বিচারক উৎপল ভট্টাচার্যের আদালতে মামলা করেন তাবিথ আউয়াল। তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম এহসানুর রহমান ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আদালত এখনো কোনো আদেশ দেননি। বিচারক নথি পর্যালোচনা করে পরে আদেশ দেবেন।
মামলায় যাদের বিবাদী করা হয়েছে তারা হলেন- প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার সচিব, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের যুগ্ম সচিব (জয়েন্ট সেক্রেটারি) মো. আবুল কাশেম, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির কাস্তে প্রতীকের প্রার্থী আহম্মেদ সাজেদুল হক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রার্থী (বর্তমান মেয়র) আতিকুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আম প্রতীকের প্রার্থী আনিসুর রহমান দেওয়ান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির বাঘ প্রতীকের প্রার্থী শাহিন খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাত পাখা প্রতীকের শেখ মো. ফজলে বারী মাসুদ।
মামলার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, আমরা গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত অনিয়মের নির্বাচন এবং ফলাফল বাতিল চেয়েছি এবং নতুন নির্বাচন ও নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করার আবেদন করেছি। আদালত আমাদের মামলা গ্রহণ করেছেন এবং কয়েকদিনের মধ্যে শুনানির একটি দিন ধার্য করবেন।
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে’ সংক্ষুব্ধ প্রার্থী বা তার মনোনীত ব্যক্তিকে আবেদন করতে হবে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম উত্তরে ও ফজলে নূর তাপস দক্ষিণের মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের গেজেট প্রকাশ করেছে। এরইমধ্যে দুই মেয়র শপথও নিয়েছেন।
মামলার পর পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবেন ট্রাইব্যুনাল। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি রায়ে খুশি না হলে ৩০ দিনের মধ্যে তিনি ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে’ যেতে পারবেন। নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল ১২০ দিনের মধ্যে আপিলটি নিষ্পত্তি করবেন।
এর আগে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত আপিল গ্রহণ, শুনানি ও নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ ও ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
ঢাকার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, ১ম আদালতকে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালত এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ঢাকা সমন্বয়ে ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করা হয়েছে। আপিল আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চেয়ারম্যান এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সদস্য হিসেবে কাজ করবেন।