দেশে প্রথমবারের মতো তিনজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর জরুরি বৈঠকে এ করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কমিটি।
সোমবার (৯ মার্চ) বিকেল ৩টায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জাতীয় কমিটির সভাপতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ রোববার (৮ মার্চ) রাতে জাতীয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ ও দিকনির্দেশনা প্রদানের লক্ষ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় কমিটির সভা ডাকা হয়েছে। জাতীয় কমিটির সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুখ্য সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব স্থানীয় সরকার বিভাগ স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ সুরক্ষা সেবা বিভাগ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ,সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়, তথ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়া স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহাসচিব স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি মহাসচিব আইডিআরএ পরিচালক ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক সভায় উপস্থিত থাকবেন।
রোববার (৮ মার্চ) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা করোনাভাইরাস সম্পর্কিত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন রোগী শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। এর মধ্যে দুজন ইতালিফেরত। এদের বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। এ তিনজন ছাড়া আরও দুজনকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৬ হাজার ১৯৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬০০ জনে। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত ৬০ হাজার ১৯০ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। বিশ্বব্যাপী ১০৩টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
শুধু চীনের মূল ভূখণ্ডেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৬৯৬ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৯৭ জনের। চীনের পর করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ কোরিয়ায়। দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজার ১৩৪ এবং মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের।
চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ইতালিতে। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৮৮৩ এবং মৃত্যু হয়েছে ৪০০ জনের। অপরদিকে, ইরানে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৮২৩ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১৪৫ জন।