রাতারাতি তারকা হয়ে গিয়েছিলেন। আবার আচমকাই রুপোলি পর্দা থেকে অবসর নিয়ে বলিউডের গ্ল্যামার দুনিয়ার আড়ালে চলে যান আট-নয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মীনাক্ষি শেষাদ্রি। মীনাক্ষী শেষাদ্রী মাত্র ১৭ বছর বয়সে ১৯৮১ সালে মিস ইন্ডিয়ার খেতাব জেতেন। দুই বছর পর মুক্তি পাওয়া সুভাষ ঘাই পরিচালিত ‘হিরো’ ছবিতে তার নায়ক ছিলেন জ্যাকি শ্রফ।
ক্যারিয়ারে এত সাফল্যের মধ্যে থাকা নায়িকার জীবনে বিতর্কও কম নয়। সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে ‘ইনাম দশ হাজার’ ছবিতে চুম্বন দৃশ্য রীতিমতো ঝড় তোলে। নব্বইয়ের দশকে বলিউড গায়ক কুমার শানুর সঙ্গে তার নাম জড়িয়েছিল। শানু সেই সময় বিবাহিত। গায়কের স্ত্রী রিতা অভিযোগ করেন, মীনাক্ষীর জন্য তার সংসার ভাঙতে চলেছে। এ মন্তব্য সমর্থন করেন শানুর ব্যক্তিগত সচিবও। মীনাক্ষীকে দামি উপহার দিতেন শানু, এ কথাও জানিয়েছিলেন রিতা। মীনাক্ষী যদিও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি। মহেশ ভাটের ‘জুর্ম’ ছবিতে ‘জাব কোয়ি বাত বিগর যায়ে’ গানটি গেয়েছিলেন শানু। সেই গানটি পর্দায় দেখেই মীনাক্ষীর সঙ্গে বন্ধুত্ব শানুর। তিনি নাকি মীনাক্ষীকে পর্দায় দেখেই প্রেমে পড়েন। গুঞ্জন আছে, তিন বছর সম্পর্কে ছিলেন তারা। বলিউডের বিখ্যাত পরিচালক রাজকুমার সন্তোষী প্রেম নিবেদন করেছিলেন মীনাক্ষীকে। কিন্তু নায়িকা প্রেম-বিয়ে কোনোটিতেই রাজি ছিলেন না। তবে ব্যক্তিগত ঝামেলা সত্ত্বেও তারা ‘দামিনী’র মতো ক্ল্যাসিক ছবি উপহার দেন। ১৯৯৬ সালে ‘ঘাতক’ ছবিতে সানি দেওলের বিপরীতে অভিনয় করেন মীনাক্ষী। এর পরই অভিনয় থেকে সরে আসেন। সেভাবে আর কখনো সংবাদ মাধ্যমের সামনেও আসেননি। এমনকি বলিউডে কামব্যাকের অফারও ফিরিয়ে দেন একাধিকবার। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ‘ঘায়েল ওয়ান্স আগেইন’ ছবিতে সানি দেওলের অনুরোধে ক্যামিও রোল করেন। মীনাক্ষী বিয়ে করেন হরিশ মাইসোর নামে এক ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকারকে। স্বামী ও দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে বর্তমানে আমেরিকাতে থাকেন। রয়েছে তার নাচের স্কুল।