রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের হোড়গাঁও এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকেই ছিনতাইকারী ও ডাকাতদের দখলে চলে যায়। প্রায় প্রতিদিনই এখানে ঘটছে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা। এমন পরিস্থিতিতে হোড়গাঁও, বালিয়াপাড়া, দড়িকান্দি, ডহরগাঁও সহ আরো কয়েকটি এলাকার সাধারন মানুষ আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা যায়, গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের উক্ত এলাকাগুলো দিয়ে সন্ধ্যার পর থেকে চলাচল করা দুস্কর হয়ে পড়েছে। এসব এলাকাগুলোতে সন্ধ্যার পর থেকেই ছিনতাইকারী ও ডাকাতদের অভয়ারন্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
তারা অভিযোগে বলেন, প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার গাউছিয়ার কাপড়ের হাট ও বৃহস্পতিবার গোলাকান্দাইলে হাট বসে। গাউছিয়ার হাটে কাপড় ব্যবসায়ীরা কাপড় ও গোলাকান্দাইল হাটে দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা গরু-বাছুর, ছাগল, খাসি সহ বিভিন্ন মালামাল এনে বিক্রি করেন। পরে বিক্রির টাকা নিয়ে গোলাকান্দাইল হোড়গাঁও রোড দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ছিনতাইকারী ও ডাকাতদের কবলে পড়ে ব্যবসায়ীদের সর্বস্ব হারাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তাছাড়া এসব এলাকাগুলোর সাধারন মানুষ সন্ধ্যার পর এই রোডে চলাচল করা ঝুকিপূর্ন বলেও অভিযোগে বলেন। তারাও প্রায় প্রতিদিন ছিনতাইকারী ও ডাকাতদের কবলে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে তারা বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বাস করছেন বলে জানান।
এদিকে হোড়গাঁও রোড এলাকার মাষ্টার কয়েল কারখানায় প্রায় মাসখানেক আগে একদল ডাকাত হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে ডাকাতরা কয়েল কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ও হাত-পা বেঁধে রেখে প্রায় ৪০টি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। তবে এসময় কারখানায় নগদ টাকা না থাকায় জনৈক কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এব্যাপারে ভুলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি নতুন এসেছি। কয়েল কারখানার ঘটনা আমি শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। আর এসব অপকর্ম রোধে নিয়মিত টহল ও অভিযান অব্যাহত রেখেছি।
এব্যাপারে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।