পাঁচ বছর ধরে কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোস্তাফিজুর রহমান মোবারিছ। তিনি ত্যাগী, পরীক্ষিত ও একজন সাদা মনের রাজনীতিবিদ হিসেবে সকলের নিকট অতি প্রিয় ব্যক্তি। দলীয় নেতাকর্মীদের সুখ-দুঃখের সাথী হিসেবেও সুপরিচিত। লোভ-লালসার উর্ধ্বে থেকে রাজনীতি করছেন দীর্ঘদিন যাবৎ। একারনেই দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা তাকে হোসেনপুর পৌরসভার মেয়র হিসেবে পেতে চান বলে জানান। হোসেনপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান মোবারিছকে দল একজন যোগ্য রাজনীতিবিদ হিসেবেই হোসেনপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মনোনীত করেছিল। তিনি দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ দায়িত্বশীলতার মাধ্যমেই সেই দায়িত্ব পালন করছেন। তারা বলেন, বিগত উপজেলা নির্বাচনে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন। সামান্য ভোটের কারনে তিনি নির্বাচিত হতে পারেননি। কিন্তু তিনি পরাজিত হলেও দলের নেতাকর্মীদের সুখ-দুঃখে পাশে থাকার পাশাপাশি সরকারি নানা উন্নয়নমূলক কাজেও সক্রিয় রয়েছেন। তারমত এমন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিকের হাতে হোসেনপুর পৌরসভার দায়িত্ব দেয়া হলে পৌরবাসী যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জল করার কর্মকান্ড সঠিকভাবে করবেন বলে তারা দৃঢ় আশাবাদী। তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দীর্ঘ ১১ বছর যাবৎ ক্ষমতায় থেকে দেশবাসীর সেবা করছে। কিন্তু এই এগারটি বছরে অনেক সুবিধাভোগী নেতা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গাড়ি বাড়ি ও টাকার মালিক হয়েছেন। যাদের চেয়ে কোন অংশেই শক্তি, ক্ষমতা বা পদের দাপট কম ছিলোনা হোসেনপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোবারিছের। কিন্তু তিনি কখনোই প্রভাব খাটিয়ে কালো টাকার মালিক হতে চাননি। অথচ তিনি ইচ্ছা করলেই গাড়ি, বাড়ি ও টাকার মালিক হতে পারতেন। তিনি জনগণের একজন সেবক হিসেবেই রাজনীতি করতে চান বলে তারা জানান। তাই আগামী হোসেনপুর পৌরসভার নির্বাচনে মোস্তাফিজুর রহমান মোবারিছকে তৃণমূল মেয়র হিসেবে দেখতে চান। এজন্য তারা দলের কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এদিকে একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান মোবারিছ বলেন, বিগত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনে ৩০,০০০ ভোটার টাকা ছাড়া ভালোবাসার বিনিময়ে বিশ্বাস ও ভরসা করে আমায় ভোট দিয়েছিলো। সেই হাজার হাজার মানুষের বিশ্বাস ও ভালোবাসার মূল্য দিতেই এখনো নীতি ও আদর্শের পথটুকু আকড়ে ধরে আছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার স্বপ্ন নিয়ে কোন টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, চাকরি দেয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়া কোনটাই করি নাই। সেই ত্রিশ হাজার ভোটারের বিশ্বাস ভরসা ও ভালোবাসার শক্তি নিয়ে হোসেনপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচন করতে চাই। পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলীয় মনোনয়ন চাওয়া আমার নৈতিক দায়িত্ব এবং মনোনয়ন পাওয়া আমার রাজনৈতিক অধিকার।তিনি বলেন, আশা রাখি মনোনয়ন বোর্ড যথাযথ বিবেচনা করে আমাকে মনোনয়ন দিবেন। আল্লাহ সহায় হলে অবশ্যই আগামী পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করবো। তিনি আরো বলেন, প্রিয় ভাই বন্ধু ও এলাকাবাসীকে পাশে নিয়ে ভোট চাই ভোটারের, দোয়া চাই সকলের।