ঝালকাঠীর কাঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন এক তরুণী। মঙ্গলবার বরিশাল নারী-শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইবুনালে এ অভিযোগে মামলা হয়েছে।
তরুণীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জানান, বিচারক আবু শামীম আজাদ অভিযোগ আমলে নিয়ে বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৪ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য রেখেছেন আদালত। ওই সময়ের মধ্যেই পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হবে বলে জানান আইনজীবী আজাদ।
অভিযোগকারী তরুণী কাঠালিয়ার আমুয়া গ্রামের মনিরুজ্জামানের মেয়ে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, এমদাদুল হক মনির এর আগের মেয়াদে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তখন তার সঙ্গে ওই তরুণীর পরিচয় হয়। চাকুরী ও বিয়ের প্রভোলন দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন মনির। তারা ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল থেকে গত ১ আগস্ট পর্যন্ত বরিশাল নগরী এবং কাঠালিয়ার বিভিন্ন বাসায় একত্রে থেকেছেন। বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হলে মনির কিছু কাগজপত্রে ওই তরুণীর স্বাক্ষর নিয়ে বলেন, তাদের বিয়ে হয়ে গেছে। তবে ওই কাগজপত্র মিতুকে দেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি বিয়ের কাগজপত্র দাবি করলে চেয়ারম্যান মনির টালবাহানা শুরু করেন। এনিয়ে সর্বশেষ গত ১৯ আগস্ট বরিশাল নগরীর এক আইনজীবীর চেম্বারে শালিশও হয়। এতে সুরাহা না হওয়ায় মঙ্গলবার মিতু উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান মনির বলেন, তিনি সংবাদিকদের মাধ্যমে সবেমাত্র মামলার খবর জেনেছেন। আপাতত এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না। অভিযোগকারীকে চিনেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যান হিসাবে উপজেলার অনেক নারীকেই চিনি।