আহলেসুন্নাত ওয়াল জামায়াত কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য বিশিষ্ঠ মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদীর মুক্তির দাবিতে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাব, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবসহ দেশের বিভিন্ন প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশকরা হয়েছে।
বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন আহলেসুন্নাত ওয়াল জামায়াত, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী যুব-ছাত্রসেনা, বিশ্ব জাকের মঞ্জিল দরবার শরীফ কর্মীগ্রুপ ওলঅমা কাউন্সিল, বিভিন্ন খানকা-দরবারের অনুসারীরা।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদী সাহেবকে এই উদ্দেশ্য মূলক মামলা থেকে মুক্তিসহ বেকুসুল খালাস দিতে হবে। হেফাজতের ইসলামের দলীয় কন্দোল সুন্নি আলেমদের উপর চাপােনার এক অপেচষ্টা চালােনা হচ্ছে।হেফাজতের কন্দোলকে ধামাচাপাদিয়ে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্যই ঠুনকো অজুহাতে মামলাদিয়ে জিহাদী সাহেবকে গ্রেপ্তার করানো হয়েছে। হেফাজতিরা নিজেদের মারপিটের কলঙ্ক ঢাকতেই মাওলানা মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদীকে মামলা দিয়ে সবার দৃষ্টি ঘুরানোর ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে। মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদীর বিরুদ্ধে হেফাজতের ষড়যন্ত্র মেনে নেয়া হবে না। সময়মতো দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, ১৮/০৯/২০২০ ইং শুক্রবার আহমদ শফী সাহেবের মৃত্যুর পর আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামাতের আলেম মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদী সাহেবের ফেসবুক পেজ থেকে এবিষয়ে একটি পোষ্ট লক্ষ্যকরা যায়, যাতে লেখা ছিলো “আল হামদুলিল্লাহ জাহান্নামের নিকৃষ্ট কুকুর আহমদ শফীর ওরফে লালা শফীর ইন্তেকালে গভীর সুখ প্রকাশ করছি। ঈদ মোবারক” এটি পোষ্ট হওয়ার সাথে সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে। মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদীকে রেজাউল করিম আবরার সহ জ্ঞাত-অজ্ঞাত পরিচয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়। এবিষয়ে জিহাদী সাহেবের পক্ষ্যথেকে বলা হয়- তাঁর পেজের বহুসংক্ষক এডমিন থাকায় তিনি উক্ত পোষ্টের লেখার বিষয়ে অবগত ছিলেন না তথা তাঁকে না জানিয়েই পেজের একজন এডমিন পোষ্টটি দিয়েছিল। বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হলে তিনি আপত্তিকর উক্ত পোষ্টটি পেজ থেকে মুছে ফেলেন। তারপর নিজে দুঃখ প্রকাশ করে সংশোধনী পোষ্টে লেখেন “পূর্বের পোষ্টটি অত্র পেজের একজন এডমিন আমাকে না জানিয়ে দিয়েছিল। এরুপ পোষ্ট অবশ্যই অনুচিত ও বেমানান। পোষ্টটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি।” তবে তার পেজ থেকে আহমদ শফী সাহেবের মৃত্যুতে অভিমত জানানো হয় এইভাবে “চির বিদায় নিয়ে পরপারে চলে গেলেন আহমদ শফী সাহেব। জন্ম যার হয়েছে, মৃত্যু তার একদিন হবেই।
রোববার নারায়ণগঞ্জ মহানগর ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি হারুনুর রশিদ ফতুল্লা মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকায় অবিস্থত মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদীর নিজবাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে। উক্ত মামলার অপর আসামিরা হলেন- চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার জাহাপুর গ্রামের ঝন্টু বিশ্বাসের ছেলে মানিক (১৫), ফরিদপুর জেলার আব্দুল্লাহ আল মামুন (১৮) ও কুমিল্লা জেলার আহসান উল্লাহ (১৮)।