অসৎ কর্মী বিমানের টিকিট ব্লক করে রাখতো: প্রতিমন্ত্রী
18, November, 2020, 12:26:25:AM
ঢাকা: বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, আগে আমরা অভিযোগ পেতাম, ‘বিমানের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না, অথচ বিমান ফাঁকা যাচ্ছে’। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা এটি তদন্ত ও মনিটরিং করেছি, ঘটনা সত্য।
বিমানের কোনো কোনো অসৎ কর্মী টিকিট ব্লক করে রাখতো। চলতি বছরের মার্চ মাসের আগ পর্যন্ত এমন ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) রাতে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে এ কথা বলেন তিনি। অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, আমরা বিমানের টিকি বিক্রির সার্ভিস সেন্টারগুলোতে তদন্ত করে দেখেছি, কিছু কিছু সেন্টারে টিকিট ব্লক করা হতো। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব টিকিট যাতে ওপেন থাকে তার ব্যবস্থা নিয়েছি। চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে বিমানের কোনো টিকিট ব্লক করার উপায় নেই, এমনটি মন্ত্রীর জন্য বা ভিআইপিদের জন্যও কোনো টিকিট ব্লক করার কোনো উপায় নেই। সে জন্য মার্চ মাস থেকে বিমানের সব সিটে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। বিমানের কোনো সিট খালি থাকছে না ভর্তি হয়ে যাচ্ছে।
বিমান পরিবহন বা মন্ট্রিল কনভেনশন বিল পাশের সময় সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, মোশারফ হোসেনসহ কয়েকজন সংসদ সদস্যের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ কথা স্বীকার করে এসব কথা বলেন।
হারুন-অর-রশিদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে শাহজালাল বিমান বন্দরের অবস্থা আমূল পরিবর্তন হয়েছে। বিশ্বের অন্য বিমান বন্দরে এক-দেড় ঘণ্টা পরে লাগেজ পাওয়া যায়। অথচ আমাদের বিমান বন্দরে ৩০ থেকে ৪৫ মিনিটের মধ্যে লাগেজ মেলে।
তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যাত্রীরা আগে নামেন বিমান বন্দরে, সেখান থেকে দেশের প্রতি তারা যেন একটা ভালো ধারণা-মনোভাব নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন, সে জন্য বিমান বন্দরগুলোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। আমরা তৃতীয় টার্মিনাল করছি। ফলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরসহ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বিমান বন্দরের চিত্র একেবারে নান্দনিক হবে।