জগন্নাথপুরের দুর্ণীতিবাজ শিক্ষা অফিসার জয়নালের বিদায়
16, February, 2021, 11:22:27:PM
মোঃ রনি মিয়া জগন্নাথপুর সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জয়নাল আবেদিনকে অবশেষে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। দীর্ঘ ৩ বছর সময়ের বেশি থাকা ঐ শিক্ষা অফিসার নানা অনিয়ম ও দুর্ণীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
বহুবার কাগজের শিরোনাম হলে অদৃশ্য খুঁটির জোরে থেকেছেন বহাল তবিয়তে। তার দুর্নীতির হাত থেকে রেহাই পায়নি কেউই। চাপা ক্ষোভ থাকলেও চাকুরী হারানোর ভয় ও ম্যানেজিং কমিটিতে বহাল থাকতে এহেন কর্মকান্ডের প্রতিবাদে সাহস পায়নি কেউই।
অবশেষে তার বদলি হওয়ায় নড়েচড়ে বসেন সবাই। তাদের মধো দেখা যায় যেন সস্থির নিঃশ্বাস।
জানা যায়, সুনামগঞ্জের প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলায় ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মোঃ জয়নাল আবেদিন সহকারী শিক্ষা অফিসার হিসাবে যোগদান করেন।
যোগদানের পর উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসাবে চলতি দায়িত্বে নিয়োজিত থেকে তিনি নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
টাকা ছাড়া তিনি কিছুই বুঝেন না।
চক আকঁতে থাকেন নানা কৌশলে। তার অনুসারী কিছু দালালদের মাধ্যমে দাপটের সাথে ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে আসছিলেন। পাশাপাশি সরকার দলীয় নেতাদের চামচামি করে সুবিদা আদায়ে তৎপর ছিলেন পঞ্চরঙ্গী এই কর্মকর্তা। ভুক্তভোগীদের মতে,
এই উপজেলার সর্বজন স্বীকৃত ঘোষখোর ও দুর্নীতিবাজ অফিসার ছিলেন তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, প্রাক প্রাথমিকের খেলনা নিজে ক্রয় করে নামেমাত্র স্কুলে বিতরণ, স্লীপের টাকায় ভাগ বসানো, স্কুলের ক্ষুদ্র মেরামতে বড় কর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে কমিশন নেয়া, বদলি বাণিজ্য ও গেল সপ্তাহে ই এফ টি, ফরম বাবৎ ২ শ টাকা করে ৭ শতাধিক শিক্ষকের কাছ থেকে আদায় নিয়ে, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ সহ সোশ্যাল মিডিয়া ফেইসবুকে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া ইতোপূর্বে নৈশ প্রহরী নিয়োগেও শিক্ষা অফিসার জয়নালের বিরুদ্ধে রয়েছে অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগ। সম্প্রতি এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হলেও কিছুদিনের মাথায় তা চাপা পড়ে যায়।
গত কদিন ধরে তার বদলির গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে তাকে বদলি করা হলে তিনি মঙ্গলবার (১৬) ফেব্রুয়ারী দুপুরে নিরবে নতুন কর্মস্থল নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় চলে যান। এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষের মধো স্বস্থি ফিরে আসে।
এদিকে জগন্নাথপুর উপজেলায় আসার পূর্বে তিনি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় থাকাকালে বহুল প্রচারিত দৈনিক যুগান্তরে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রতিবেদন ছাপা হয়।
তার বাড়ি ময়মনসিং জেলার পূর্বধলা উপজেলায়। সে বর্তমানে জেলা সদরে একাধিক বাড়ী গাড়ীর মালিক বলে জানা গেছে। তদন্ত হলেই তার দুর্নীতির অজানা রহস্য উদঘাটন সম্ভব বলে সচেতন মহল মনে করছেন।