পৌরসভা নির্বাচনের পঞ্চম ধাপে রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহীর চারঘাট ও দুর্গাপুর পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া এ দিন রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবখানেই জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা।ভোট গণনা শেষে রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বড় ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন বর্তমান মেয়র তোফাজ্জল হোসেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি ৮ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জার্জিস হোসেন সোহেল পেয়েছেন ৬ হাজার ৪০১ ভোট। এখানে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হাসানুজ্জামান সান্টু পেয়েছেন ১ হাজার ২০৭ ভোট। আর জাতীয় পার্টির প্রার্থী হুমায়ন কবির লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১৩৪ ভোট। আওয়ামী লীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেন টানা তৃতীয়বারের মতো পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হলেন।
এদিকে চারঘাট পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী একরামুল হক নৌকা প্রতীকে ১৪ হাজার ৯৮১ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জাকিরুল ইসলাম বিকুল ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৮১২ ভোট। বিকুল পৌরসভার বর্তমান মেয়র।দুপুর দেড়টার দিকে তিনি নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেন। ভোটকেন্দ্রে হাতবোমা বিস্ফোরণের পর তিনি ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। বেলা ১১টার দিকে সারদা থানাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে হতাহতের কোন ঘটনা না ঘটলেও ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।
ঘটনার সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একরামুল হক এবং বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী জাকিরুল ইসলাম বিকুল ওই ভোটকেন্দ্রেই ছিলেন। তারা টেলিভিশন সাংবাদিকদের ইন্টার্ভিউ দিচ্ছিলেন। তখনই সামান্য দূরে ভোটারদের সারির পেছনে হাতবোমা দুটি নিক্ষেপ করা হয়। নির্বাচনে কেন্দ্র দখল এবং এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ তুলে বিকুল ভোট বর্জন করেন।
এদিকে রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মুনসুর রহমান গত ২২ নভেম্বর মারা যান। এ কারণে তার পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
উপজেলা নির্বাচন অফিস জানিয়েছে, নির্বাচনে ৭৭ হাজার ৬৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের প্রার্থী মামুনুর সরকার জেড। তিনি ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৩১৫টি। এছাড়া অন্য প্রার্থী মুসলীম লীগের আফজাল হোসেন হ্যারিকেন প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৫১২টি।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রামাণিক জানান, ৭৯টি ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। উপ-নির্বাচনে পবা উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের ২ লাখ ৪০ হাজার ৪৪৪ জন ভোটার ছিলেন। মোট ভোটারের মধ্যে ৩৫ দশমিক ২৮ শতাংশ ভোট দিয়েছেন।