পায়রা সমুদ্র বন্দর সংলগ্ন আমতলীতে উন্নতমানের আবাসিক হোটেল
1, March, 2021, 11:58:0:PM
আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ পায়রা সমুদ্র বন্দর সংলগ্ন আমতলী পৌরশহরে এই-ই সর্ব প্রথম উন্নতমানের একটি আবাসিক হোটেল ও কমিউনিটি সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়েছে। গত ২৮ ফেব্রæয়ারি রবিবার বিকেল ৫টায় আমতলী পৌর শহরের চৌরাস্তায় বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশে একটি ত্রিতল আবাসিক হোটেল ‘হোটেল .২১’ এবং ‘রোজগার্ডেন কমিউনিটি সেন্টার’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধন করেছেন পৌর মেয়র ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান। আমতলীর অন্যতম ব্যবসায়ী আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী সভায় বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হারুনর রশিদ, আমতলী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি সভাপতি জালাল আহমেদ ফকির, গুলিশাখালীর ইউপি চেয়ারম্যান এড. আলহাজ¦ নূরুল ইসলাম, আমতলীর ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহারউদ্দিন মৃধা, হোটেল মালিক ও প্রতিষ্ঠাতা বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান হিরু, ডাঃ খালেকনিজাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মজিবর রহমান প্রমুখ। মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, পায়রা সমুদ্র বন্দর আমাদের সন্নিকটে। এখানে অনেক বিদেশীদের আনাগোনা রয়েছে। তাছাড়া দীর্ঘদিন যাবত আমতলী পৌরশহরে উন্নতমানের একটি আবাসিক হোটেল ও কমিউনিটি সেন্টারের অভাব ছিল। সকলের সুবিধার দিকে লক্ষ্য রেখে এই সর্বপ্রথম উন্নতমানের একটি আবাসিক হোটেল ‘হোটেল .২১’ এবং ‘রোজগার্ডেন কমিউনিটি সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
আমতলীর একমাত্র বরফকল ৪০ বছর বন্ধ ৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বেদখল আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ সংস্কার ও অব্যবস্থাপনার কারণে আমতলীর একমাত্র বরফকলটি ৪০ বছর যাবত বন্ধ থাকায় ৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বেদখল হয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরজমিনে দেখা গেছে, বরফ উৎপাদনের জন্য আমতলী পৌরসভার বাসুগী এলাকায় নির্মিত ৬শ বর্গফুটের ১টি পাকা ভবন সংস্কার ও অব্যবস্থাপনার কারণে জীর্ণদশায় পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার ফলে ভবনের প্লাস্টার খসে পড়ছে। দরজা, জানালা, পাল্লা, চৌকাঠ এবং লোহার গ্রিলগুলো কে বা কারা খুলে নিয়ে গেছে। ভবনের ভেতরে বরফ উৎপাদনের জন্য মোটরের যন্ত্রপাতি কিছুই নেই, সব চুরি হয়ে গেছে। কয়েকটি অকেজো লোহার ক্যান ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে মেঝেতে। ভবনের পাশেই পানি সরবরাহের জন্য খননকৃত পুকুরটি ভরাট হয়ে গেছে। বরফকলের জন্য খরিদকৃত জমির কোন হদিস নেই। ভবন বাদে পুরো জায়গা স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দখল করে তাতে বসতবাড়ি নির্মাণ ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা লাগিয়ে বসবাস করছে। স্থানীয় বাজার মূল্যে এ জমির মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। উপজেলা সমবায় অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৩ সালে ‘ক্রিশ্চিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি)’ নামে একটি বেসরকারি সংস্থা উপকূলীয় জেলেদের কথা বিবেচনা করে আমতলী পৌরসভার বাসুগী এলাকায় ২ একর জমি ক্রয় করে সেখানে একটি বরফকল স্থাপন করে। সংস্থাটির আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় বরফকলটির জন্য একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। বরফ উৎপাদনের জন্য স্থাপন করা হয় ৬২ হর্স পাওয়ারের ১টি ডিজেলচালিত মোটর ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি। প্রতিদিন ১০ টন বরফ উৎপাদন সম্পন্ন বরফকলটি ১৯৮০ সাল পর্যন্ত লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হলেও ১৯৮১ সালে এসে অজ্ঞাত কারণে এটি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে এটি চালু হচ্ছে, হবে বলে আজ ৪০ বছরেও আর চালু হয়নি। বরফকলটি বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। তারা দূর-দূরান্ত থেকে বরফ সংগ্রহ করে মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাত করছে। এতে তাদের খরচ বেড়ে যাওয়ায় একদিকে ব্যবসায়ীরা তেমন একটা লাভ করতে পারছে না, অন্যদিকে বাড়তি মূল্যের চাপটি পড়ছে ক্রেতা সাধারণের উপরে। সবচেয়ে দুর্ভোগে পতিত হয় জেলেরা, যখন বরফের অভাবে তাদের মাছ পচে যায়। তখন তারা নিলাম দরে মাছ বিক্রি করতে বাধ্য হয়।