আরিফ রববানী,ময়মনসিংহ।। ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করার পর থেকেই মিজানুর রহমান জনস্বার্থ সংরক্ষণ, জনসেবা নিশ্চিতকরণ, সরকারি সেবা গ্রহণে জনভোগান্তি ও হয়রানি বন্ধ করা, সরকারি কর্মকাণ্ডে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো ও নিশ্চিত করা, ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে ডিজিটাইলেজেশন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি বন্ধ, সরকারি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে সেবার মান উন্নতকরণ নিশ্চিত করা, খাদ্যে ভেজাল, নকল ওষুধ, যাত্রী হয়রানি, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন। আর এ জন্যই তিনি যোগদানের স্বল্প সময়ের মাঝেই তিনি সাধারন মানুষের প্রিয় আস্থার প্রতীক হিসাবে পরিচিতি অর্জন করে নিয়েছেন। তার দক্ষতায় ও মেধাবী পরিচালনায় ই-মনিটরিং অ্যান্ড পারফরমেন্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন সিস্টেম (ইএমপিইএস) বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারি পর্যায়ে কারিগরি ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার-২০২০’ অর্জন করেছে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। এছাড়াও জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান দক্ষতায় ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন জরিপের খতিয়ানসমূহ ভূমি মালিকদের হাতে সহজে তুলে নিতে অনলাইন খতিয়ান প্রদান ও ডিজিটাল রেকর্ড রুম তৈরির উদ্যোগ নিয়েছেন। এই উদ্যোগের ফলে লাখ লাখ মানুষ খুব দ্রুততম সময়ে ভূমিসেবা পাচ্ছেন। জেলার সফল ও সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান শুধুমাত্র একজন প্রশাসকই নন, মানবতার জন্য দরদী বন্ধু। ডিজিটাল ময়মনসিংহ গড়ার পথিকৃৎ হিসাবে ইতিমধ্যে তিনি যুব ও তরুণ সমাজের কাছে একজন জনপ্রিয় ও অনুকরনীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের দ্বারা তিনি প্রতিনিয়ত জেলাবাসীর বড় বড় সমস্যার সমাধান দিয়ে আসছেন। একজন সাধারন মানুষকে করে নিয়েছেন বন্ধু। তিনি এমন একজন জেলা প্রশাসক যার কাছে সব শ্রেনীর মানুষ সরাসরি সাক্ষাৎ এর মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন খুব সহজে । তিনি ময়মনসিংহের বিভিন্ন অঙ্গনের মানোন্নয়নে যে অতুলনীয় অবদান রেখে চলেছেন তা ভুলা যাবেনা। তার অবস্থানে ময়মনসিংহের সামগ্রিক কার্যক্রম দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে চলছে। তিনি তার কর্মজীবনে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার মধ্য দিয়ে ময়মনসিংহ বাসীর মনে স্থান করে নিয়েছেন। ময়মনসিংহের সর্বস্তরের মানুষ তাকে আজীবন স্মরণ রাখবেন। বিশ্লেষকদের মতে-ময়মনসিংহের শান্তি-শৃঙ্খলা, উন্নয়ন, স্বচ্ছ ও দুর্ণীতি মুক্ত জেলা গঠনে দায়িত্ব সফল ভাবে পালন করেন জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান। জেলায় এ দায়িত্ব পালনে প্রায় ২৪ ঘন্টা সজাগ থাকতে হয় জেলার শীর্ষ কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক কে। সেক্ষেত্রে জেলা অভিভাবক বললেও ভুল হবে না ডিসিকে। জেলা প্রশাসনের দায়িত্বে থেকে কাজ করতে গিয়ে ময়ময়মনসিংহ বাসীর প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছরের দায়িত্ব পালনকালে জনবান্ধব যুগান্তকারী কিছু পদক্ষেপে ময়মনসিংহ জেলাকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। জনবান্ধব এই জেলা প্রশাসকের হঠাৎ বিদায়ের ঘন্টা বেজে উঠায় হতাশ হয়েছেন ময়মনসিংহের সর্বস্তরের জনগণ। বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে জেলা প্রশাসকের প্রশংসা করেছেন উপস্থিত সকলেই। সফলভাবে দায়িত্ব পালন করায় অভিন্দন ও তাঁর ভবিষ্যৎ জীবনের জন্যও শুভকামনা জানান সদ্য বিদায়ী ডিসি মিজানুর রহমানের জন্য৷ এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের ব্যক্তি বর্গরাও তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। পরিশেষে ক্ষুধা-দারিদ্র, নিরক্ষরতা ও সন্ত্রাসমুক্ত, শোষণহীন সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়দীপ্ত দৃঢ় অঙ্গিকারে জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান আরো এগিয়ে যাবেন এমনটাই প্রত্যাশা ময়মনসিংহবাসীর।