কর্মদক্ষতার মূল্যায়নে পঞ্চগড়ের শ্রেষ্ঠ এসিল্যান্ড নির্বাচিত হয়েছেন তেঁতুলিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুল হক।
২০২০ সালে কর্মক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় পাঁচ উপজেলার এসিল্যান্ডের মধ্যে তাকে শ্রেষ্ঠ এসিল্যান্ড ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ড. সাবিনা ইয়াসমিন।
জেলা রাজস্ব সম্মেলনে শ্রেষ্ঠত্বের বিশেষ স্বীকৃতি হিসেবে মাসুদুল হককে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করেছেন জেলা প্রশাসক।
করোনা পরিস্থিতিতে এ কর্মকর্তা ফ্রন্টলাইনার যোদ্ধা হয়ে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণসহ লকডাউন ও করোনা প্রতিরোধে মাস্ক পরা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়াও মাদক প্রতিরোধে অভিযান, জুয়া, বাল্যবিয়ে-ইভটিজিং বন্ধ, দ্রব্য মূল্য ও ভেজাল খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে ছয় মাসেরও বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে গত এক বছরে ১৩৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।
২ জুলাই ২০১৯ সালে তেঁতুলিয়ায় এসিল্যান্ড হিসেবে যোগদান করেন মাসুদুল হক। যোগদানের পর থেকেই কর্মদক্ষতার পরিচয় দেন তিনি। সেবাগ্রহীতারা যেন দালালের খপ্পরে না পরে সেটিও নিশ্চিত করেছেন এই কর্মকর্তা।
ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রত্যেক ইউনিয়ন ও উপজেলা ভূমি অফিসে উচ্চ গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থাসহ উন্নতমানের ল্যাপটপ, প্রিন্টার, স্ক্যানারের ব্যবস্থা করেছেন। প্রযুক্তি ব্যবহারে এখন সেবাগ্রতীরা অল্প সময়ে ও কম খরচে সেবাগ্রহণ করতে পারছেন। অফিস ও রেকর্ড রুমের সার্বিক নিরাপত্তায় বসিয়েছেন সিসি টিভি ক্যামেরা।
সেবাগ্রহীতারা মিউটেশনে ৪৫ সেবা কার্যদিবসের বদলে ২৮ দিনের মধ্যেই ই-নামজারি করতে সক্ষম হচ্ছেন। মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে ই- নামজারির শুনানি গ্রহণ করে সরকার নির্ধারিত ফিতেই মিলছে জমির খতিয়ান ও ডিসিআর। এসএমএস-এর মাধ্যমে মিলছে তথ্য।
প্রবাসীরা জরুরি ক্ষেত্রে কিছু কিছু মামলায় ৭ দিনের মধ্যে নিস্পত্তি সেবা পাচ্ছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মামলা ১০ দিনের মধ্যে নিস্পত্তি করা হচ্ছে।
এছাড়াও বিগত অর্থ বছরে ৪৫টি ভূমিহীন পরিবারকে ভূমি বন্দোবস্তসহ মুজিব বর্ষে ১৫২ জন ভূমি ও গৃহহীনদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রায় তিন একর কৃষি খাস জমি উদ্ধার ও চিহ্নিত করেছেন এ কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার ( ভূমি) মাসুদুল হক বলেন, প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হিসেবে সর্বদা জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন ও জনগণের দোরগোড়ায় ভূমিসেবা পৌঁছে দিতে সর্বদা প্রস্তুত আছি।
২০২০ সালে আমার কর্মদক্ষতার মূল্যায়ন করায় কাজের স্পৃহা আরো বেড়ে গেল। এজন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা। পুরস্কারের আশা নয়, জনগণের সেবা দেয়া আমার ব্রত। আমার ওপর ন্যস্ত দায়িত্বগুলো সবার সহযোগিতায় সঠিকভাবে পালন করতে চাই।