আমতলীতে সড়ক দূর্ঘটনায় চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ নিহত দুই আহত দুই
17, March, 2021, 6:19:56:PM
হায়াতুজ্জামান মিরাজ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি। বরগুনার আমতলী- পটুয়াখালী- কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের মহিষকাটা বাসষ্ট্যান্ডের দক্ষিন পাশে ট্রাক ও প্রাইভেট কার মুখোমুখি সংঘর্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ২ জন নিহত। প্রাইভেটকারে থাকা অপর এক আরোহী ও টমটম (টেম্পু) চালক গুরুত্বর আহত হয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে, গতকাল (মঙ্গলবার) দিবাগত রাত অনুমান সারে ৯টার দিকে একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো- গ ২৯-৬৩৪১) যোগে বরিশালের মুলাদি উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ওবায়দুল শিকদারের পুত্র ও ঐ ইউনিয়নের (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ তৌফিক শিকদার (৪০) কলাপাড়া উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও চম্পাপুর ইউনিয়নের ফকু মৃধার পুত্র তুহিন মৃধা (৩৫) ও তার ভাই আরোহী ব্যবসায়ী মোঃ আনোয়ারুল হক (সাগর) পটুয়াখালী যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে আমতলী- পটুয়াখালী- কুয়াকাটা সড়কের মহিষকাটা বাস ষ্ট্যান্ডের কাছাকাছি পৌছলে প্রাইভেট কারটি একটি টমটমকে (টেম্পু) সাইড দিতে গিয়ে বিপরীত দিক পটুয়াখালী থেকে ছেড়ে আসা ট্রাকের (ঢাকা মেট্রো- ট ২০-২০৩৪) সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেট কারটির সামনের অংশ দুমরে মুচরে যায় এবং ঘটনাস্থলেই কার চালক মোঃ তৌফিক শিকদার ও তুহিন মৃধা নিহত হয়। প্রাইভেট কারের অরপর আরোহী আনোয়ারুল হক সাগর ও টমটম (টেম্পু) চালক কাইয়ূম গুরুত্বর আহত হয়। সংবাদ পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রæত ঘটনাস্থলে পৌছে স্থাণীয়দের সহায়তায় নিহত দুজনের মরদেহ দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া প্রাইভেট কার থেকে থেকে বের করে আনেন এবং অপর গুরুত্বর আহত কারের আরোহী ব্যবসায়ী ও টমটম (টেম্পু) চালককে উদ্ধার করে প্রথমে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে আশংকাজনক অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এতে ওই সড়কে প্রায় আধা ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিলো। পুলিশ গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন। উপজেলার চরখালী গ্রামের টমটম চালক আইযুব আলীর পুত্র কাইউম এ ঘটনায় আমতলী থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ দুটি বরগুনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহআলম হাওলাদার বলেন, সংবাদ পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। গুরুত্বর আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি।