বদরুল আমীন, ময়মনসিংহঃ এক পা এগুলেই গুলি করে দেবো! এমন ভাবেই সন্ত্রাসী শাহীন পিস্তল ঠেকিয়ে পথ রোধ করে এক সাংবাদিকের। তারপর সাংবাদিককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্নক জখম করে। ছিনিয়ে নেয় তার ক্যামেরা ও টাকা। মারাত্নক আহত সাংবাদিক পড়ে থাকে রাস্তার উপর। স্থানীয় সন্ত্রাসী সিদ্দিকুর রহমান শাহীন তার বাহিনী নিয়ে এমন ঘটনা ঘটায় ময়মনসিংহ সদরের চর নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের রাঘবপুর গ্রামে, গত ১৮ মার্চ রাত ১১ টার দিকে। ঘঁটনা স্থলের পাশেই নজরুলের চায়ের দোকানে ১৫/১৬ লোক উপস্থিত থাকলেও অস্ত্রধারীদের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। এ ব্যপারে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘঁটনার পর থেকে এলাকায় চরম আতংক বিরাজ করছে। ভয়ে কেউ মূখ খুলছেনা। কি বলে কোন বিপদে পড়ে!
সিদ্দিকুর রহমান শাহীন ময়মনসিংহ সদরের রাঘবপুর এলাকায় থাকে। শশুর বাড়ি তারাকান্দার গোপাল পুরে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে তার নামে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছিল। টাকা জোর বেশী থাকায়, সে যাত্রায় সে বেঁচে যায়। এর পরই সে জড়িয়ে যায় অপরাধ জগতে। তার দলে আছে দুইজন কতিথ পুলিশের সোর্স। তারাও অটো চোর ও মাদক ব্যবসায় জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। সোর্সদ্বয় কোন মাদক ব্যবসায়ীকে ধরালে সোর্সমানি নেয়না। উদ্ধারকৃত মাদকে ৫০% তারা নিয়ে যায় বলে এলাকায় প্রচার রয়েছে। এ মাদক বিক্্রী করে সোর্সরা যা পায় তাতেই নাকি খুশি।
শম্ভুগজ্ঞ-কিশোরগজ্ঞ মহা-সড়কের সাহেব কাচারী বাজার, রাঘবপুর, রঘুরামপুর ও বিসকার আংশিক অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রন করে সিদ্দীকুর রহমান শাহীন। তার দলে ছিনতাইকারি, চোরও রয়েছে। রাঘবপুরে তার বাবার শশুর বাড়ি। আলকাসের নাতি শাওন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। শাওন তার দলের সদস্য। আলকাসের মেয়ের জামাতা কেওয়াট খালির সৈয়দ আলী কুখ্যাত গাঁজা ব্যবসায়ী। গত সপ্তাহে ডিবি’র এস আই গোলাম মওলা যে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে চোর গ্রেফতার করেছে, সে মোটরসাইকেলটি আগের রাতে আলকাসের জালানাহীন তালাবদ্ধ ঘরে ছিলো। এমন খবরে সাংবাদিকরা আলকাসের বাড়িতে গেলে শাহীন তেলে বেগুনে জ¦লে যায়। ফেসবুকে চ্যাটিং করে এমন কথা শাহীন জানিয়েছে। আর এ কারনেই শাহীন সুলতাকে পিটিয়েছে।
জানা যায়, সম্প্রতি রাঘবপুর ও রঘুরামপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি পানির পাম্প (মটর) চুরি হয়। সিদ্দীকুর রহমান শাহীন স্থানীয় মসজিদের দুটি পানির পাম্প (মটর) ফেরত দেয়। আরেকটি মটর ফেরত দেয়ার জন্য সাহেব কাচারী বাজারের একটি দোকানে রেখেছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঁপাগুঞ্জন শুরু হলে শাহীন তার বাহিনী নিয়ে রংপুইরার পুত্র সোহেলকে রাতে ধরে নিয়ে যায়। পরে সোহেলকে নীরব জঙ্গলে নিয়ে মেরে বস্তা বন্ধি করার হুমকি দেয়। শাহীন নিজেকে চোরের অপবঁাঁদ থেকে বাচাঁতে সোহেলকে দিয়ে একটি ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে। যাতে রাতের দৃশ্য প্রতিয়মান হয়। এ ব্যপারে একাধিক সংবাদ পত্রে সংবাদ প্রকাশ পায়।
শাহীনের ভয়ংকর সন্ত্রাসী থেকে বাচঁতে এলাকাবাশী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।