দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় ভূমি অফিসগুলি ভারত থেকে বিনিময় করে আসা মুসলমানদের ২নং সংখ্যালঘু (হিন্দু)- তে পরিণত করেছে।
6, April, 2021, 1:36:12:AM
মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি ১৯৪৭ সালের লিয়াকত- নেহেরু চুক্তির আলোকে ভারত থেকে বিনিময় করে আসা মুসলমানদের ভূমি অফিসগুলি ২নং সংখ্যালঘু (হিন্দু)- তে পরিণত করেছে। ব্রিটিশ আমলে দিনাজপুর জেলা হিন্দু জমিদার ও জোতদার অধুঃসিত জেলা ছিল। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগ কালে জমিদাররা সবকিছু পূর্ব পাকিস্তানে ফেলে রেখে ভারতে চলে যায়। ১৯৬৫ সালে পাক –ভারত যুদ্ধের আগে ও পরে লিয়াকত-নেহেরু চুক্তির আলোকে পূর্ব পাকিস্তানের হিন্দু জোতদাররা বিনিময় করে ভারতে চলে যায়। আর ভারত থেকে মুসলমান জোতদাররা পূর্ব পাকিস্তানে চলে আসে। বিনিময়কারী মুসলমানরা হিন্দুদের বাড়ীতে অবস্থান করছে এবং জমি-জমা ভোগ দখল করছে। জমিজমা রেজিস্ট্রিশন (নিয়মিত) করণের জন্য বিনিময়কারীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন করেছেন। কিন্তু তহশিদার ও এসি ল্যান্ডের বিনিময় শাখা অন্যায় ভাবে বিনিময়কারীদের জমি “ভিপি” করে সমস্যার সৃষ্টি করেছে। তাদের জমির খাজনা গ্রহণ করা হচ্ছে না। যাতে করে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের বিনিময় শাখা থেকে তথ্য নিয়ে জানা গেছে, দিনাজপুর জেলার ১৩টি থানার ১ (এক) হাজারের বেশি বিনিময় কেস রেজিস্ট্রেশনের জন্য পড়ে রয়েছে। তন্মধ্যে শুধু ফুলবাড়ী উপজেলার ২১৫টি কেস বিভিন্ন অজুহাতে আটকে রাখা হয়েছে। দেশের সবচেয়ে দুর্নীতি গ্রস্থ ভূমি অফিসগুলোকে টাকা ঘুষ দিলে একজনের জমি আর একজনের নামে লিখে দেয়া হচ্ছে। ভাল কৃষি জমিকে খাস জমিতে পরিণত করছে এবং খাস জমিকে ভাল জমিতে পরিণত করছে। “০৪/০৫/১৯৭০ তারিখ এনিমি প্রপারটি (এল এন্ড ডি) আইনে উল্লেখ রয়েছে ভারত থেকে বিনিময় করে আসা মুসলমানদের বিনিময় কেসগুলি নিঃস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত জমিতে কোন প্রকার স্থাপনা নির্মাণ বা কাউকে লিজ প্রদান করা যাবে না।” কিন্তু দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলার ভূমি অফিসগুলি এই আইনের প্রতি কোন তোয়াক্কা না করে ব্যক্তি স্বার্থে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করছে। ভুক্তভোগি বিনিময়কারী মুসলমানরা ভূমি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দাবী করছে, বিনিময় কেসগুলি দ্রæত রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করতে পারবে। এ ব্যাপারে দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় বিনিময় করে আসা জমির মালিকেরা সংশ্লিষ্ট ভূমি মন্ত্রির ও ভুমি মন্ত্রনালয়ের আসু হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।