দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ৬নং ভাদুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসমান জামিল ও তার ভাইসহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দোকান ঘর ভাংচুর, নির্মাণ সামগ্রী চুরি ও ভয়ভীতি প্রদর্শণের অভিযোগে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছে উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের শিমুর গ্রামের মৃত তসলিম উদ্দীন চৌধুরীর ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম। আসমান জামিল( চেয়ারম্যাম ৬নং ভাদুরিয়া ইউপি) সহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০/৪২ জন অজ্ঞাত নামাকে অভিযুক্ত করে ওই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে । মামলা সূত্রে জানা যায় ২ এপ্রিল দিনগত রাত ১০টার দিকে ইউ,পি চেয়ারম্যান আসমান জামিল ও তার ভাই রোস্তম কবীর স্বাধীনের হুকুমে তাদের দলবল মামলার বাদীর ভাদুরিয়া মৌজার ১নং খতিয়ান ভুক্ত ১১৫ দাগে ০.১২ একর জমিতে থাকা ৫টি দোকান ঘর ভাংচুর ও রড সিমেন্ট চুরি করে নিয়ে গেছে। ইউ,পি চেয়ারম্যান আসমান জামিল জানান, একই দাগে আমার পিতার রেখে যাওয়া আমাদের পৈত্রিক জমি রয়েছে। জমির উপর দোকান ঘর করার সময় সেখানে আমি বাধা প্রদান করেছিলাম । আসলে এরা এক প্রকার সংঘবদ্ধ জালিয়াত চক্র। এরা আমাকে আমার ইউনিয়ন বাসীর কাছে হেয় প্রতিপন্ন করার হীন উদ্দেশ্যে এবং আমার সুনাম ক্ষুন্ন করার অসৎ উদ্দেশ্যে আমাকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানোর জন্য এই মিথ্যা মামলা করেছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আমি আদালত থেকে জামিন নিয়েছি। উক্ত দাগে মোট জমির পরিমান ৫৫শতাংশ।আমার পিতা ১৯৬৪সালে ৩৩শতাংশ জমি বন্দোবস্ত গ্রহন করেন এবং বাদীর পিতা মৃত তছলিম উদ্দিন ১৯৭৩সালে ১২শতাংশ জমি বন্দোবস্ত গ্রহন করেন। মৃত আহাদ আলী ৮শতাংশ জমি বন্দোবস্ত গ্রহন করেন এবং ২শতাংশ জমি রাস্তার জন্য রেখে দেন। বাদীর ১২ শতাংশ জমি সাত্তার হাজী,আবু তাহের মিলিটারি, সাইদ মেম্বর ও ওবায়দুর রহমানগংরা কাগজপত্র বিহিন অন্যায়ভাবে জবর দখলের চেষ্টা করছে। উক্ত বাদীর ১২শতাংশ জমি জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ মামলা না করে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আমার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ভোগ দখলীয় জমি রাতের আঁধারে দোকানঘর নির্মান করতে আসলে আমরা বাধা প্রদান করি। বাদী তার মামলায় উল্লেখিত ৫টি দোকানঘর,৩০মন রড,৫০বস্তা সিমেন্ট চুরি হওয়ার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে তা আসলে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।নবাবগঞ্জ থানার মামলা নং -০৭, তাং০৪/০৪/২১ইং। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এস, আই আব্দুস সালাম জানান, বিষয়টি জমিজমা সংক্রান্ত, একই জমি দুই পক্ষই দাবী করে। মামলা তদন্তাধীন রয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।