পার্বতীপুরের তিন যুবক কে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে দুই প্রতারক হাতিয়ে নেয় নয় লক্ষ টাকা।
11, April, 2021, 3:39:33:AM
মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলা হলদী বাড়ী, রেলগেট গ্রামের মোঃ সেকেন্দার আলীর স্ত্রী মোছাঃ গোলশানারা বেগম এর অভিযোগে যানা যায়, গত ২০১৯ সালে পার্বতীপুর উপজেলার হলদী বাড়ী গ্রামের মৃত বছির উদ্দিনের পুত্র মোঃ আনোয়ার হোসেন (বাবু) এর সাথে পরিচয় ঘটে। সেই পরিচয়ে তার বন্ধু দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার মন্ডল পাড়া নগর বাড়ী গ্রামের পিতা সাইদুল ইসলামের সাথে পরিচয় ঘটে। সেই সুবাদে মোছাঃ গোলশানারা বেগমের কথা মত ও তার ভাই আনোয়ার হোসেন বাবুর পরামর্শে গত ০৩/০২/২০১৯ইং তারিখে প্রতারক মিজানুর নামে পুবালী ব্যাংক লিঃ পার্বতীপুর শাখার মাধ্যমে তার হিসাব নং ০৭০৩১০১১৩৮৬৩৫ তে পার্বতীপুর উপজেলার হলদী বাড়ী গ্রামের মৃত আতিকার রহমানের পুত্র মোঃ মিন্টু মোল্লা (৩২) প্রথমে ৫০ হাজার টাকা ২১/০৩/২০১৯ইং তারিখে ঐ একই হিসাব নম্বরে এক লক্ষ টাকা ০১/০৪/১৯ইং তারিখে এক লক্ষ টাকা উক্ত প্রতারক মিজানুর রহমান তিন ধাপে ঐ টাকা গ্রহরন করেন এবং ঢাকায় ডেকে নিয়ে আরো ৫৫ হাজার টাকা গ্রহন করেন। মোট ৩ লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। একই কায়দায় প্রতাকর মিজানুর রহমান ও পার্বতীপুরের হলদী বাড়ী গ্রামের মোছাঃ গোলশানার বেগম এর ভাই আনোয়ার হোসেন বাবু মোঃ জিয়াউর রহমান এর নিকট থেকে এইক হিসাব নম্বরে ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা নেন। পরবর্তীতে হলদী বাড়ী গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র মোঃ মানিক মিয়ার নিকট থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার মধ্যে ১ লক্ষ টাকা মোছাঃ গুলশানারা বেগম এর হিসাব খাতে সোনালী ব্যাংক লিঃ পার্বতীপুর শাখা মাধ্যমে মানিক পাঠিয়ে দেন। এ নিয়ে মোট জিয়াউর রহমানের ৭০ হাজার ও মানিকের ১ লক্ষ টাকা মিজানুর রহমানের হিসাব খাতে পাঠিয়ে দেন মোছাঃ গুলশানরা বেগম। উল্লেখ্য যে প্রতারক মোঃ মিজানুর রহমান ও আনোয়ার হোসেন ঐ তিনজন কে বিদেশে পাঠানোর ভুয়া কাগজপত্র প্রদান করেন। তার কাগজ পত্র যাচাই করে দেখেন যে মিজানুরের দেওয়া সমস্ত কাগজ জালিয়াতি। এই ঘটনায় ঐ প্রতারক মিজানুর রহমানের নিকট টাকা ফেরত চাইলে অনিহা প্রকাশ করেন এবং বর্তমানে দুইজন প্রতারক পলাতক রয়েছেন। মোঃ সেকেন্দার আলীর স্ত্রী মোছাঃ গুলশানারা বেগম যানান মানিক মিয়া আমার নিকট টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় জোর পূর্বক থানায় নিয়ে গিয়ে ৩০০ টাকার স্ট্যাপে আপোশ নামায় লিখে নেয়। একই কায়দায় মিন্টু মোল্লা গুলশানারা বেগমের নিকট অঙ্গিকার নামা লিখে নেয়। ঐ এলাকার পাওনাদার মানিক ও মিন্টু টাকার দাবিতে বার বার তাদের বাড়িতে ও তার স্বামীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নানা রকম অশ্লিল ভাষায় গালিগালাজ ও দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। মোছাঃ গুলশানারা বেগম জানান আমি এই ঘটনার সাথে কোনো ভাবে জড়িত নই। আমার সাথে বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে শুধু কথা হয়েছিল। যাকিছু লেনদেন হয়েছে আমার ভাই আনোয়ার হোসেন ও বিরল উপজেলার মিজানুর রহমানের সাথে। বর্তমান দুই প্রতারকের মোবাইল বন্ধ রয়েছে। যোগাযোগ করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। বর্তমান তারা ন্যায় বিচারের আশায় প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।