জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের সরকারপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তির নাম শামীম ইসলাম। তিনি ওই এলাকার শফিকুলের ছেলে।
জানা যায়, চার বছর আগে সরকারপাড়া এলাকার শামীমের সাথে পার্শ্ববর্তী গুলজারপাড়া এলাকার ফজলু ইসলামের মেয়ে ফিরোজা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের দুই বছরের একটি ছেলে রয়েছে। শামীম পেশায় রাজমিস্ত্রী।
শামীম জানান, বিয়ের পর থেকেই ফিরোজা তাকে একক পরিবারে থাকতে চাপ দিয়ে আসছিলেন। এই জন্য প্রায়ই উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য হতো। গতকাল (রবিবার) সন্ধ্যায় তাদের ছেলে হঠাৎ করে ৫/৬ বার বমি করে। শামীম স্থানীয় বাজার থেকে ছেলের জন্য ওষুধ নিয়ে আসেন। ওষুধ কেনার ফলে টাকা শেষ হওয়ায় বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে নিজের জমানো টাকা চান শামীম। এতেই ক্ষিপ্ত হন ফিরোজা। দুইজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ফিরোজা শামীমের মাথায় শিলপাটা দিয়ে দুই জায়গায় আঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় শামীমকে বাসায় প্রথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
শামীম আরো অভিযোগ করেন, ফিরোজা এর আগে শোকেসের গ্লাস ভেঙ্গে নিজের গলা কাটার চেষ্টা করেন। সামান্য কোন ঘটনাতেই বাসায় অশান্তি শুরু করেন ফিরোজা।
চিলাহাটি ইউপি চেয়ারম্যান কামাল মোস্তাহারুল নয়ন বলেন, গতকালের ঘটনায় শামীমের কোন দোষ নেই। এর আগেও বিভিন্ন সময় শামীম ও ফিরোজাকে নিয়ে পারিবারিকভাবে বসা হয়েছিল। কিন্তু ফিরোজা কারো কথাই শুনেন না। সর্বশেষ গতকাল শামীমের মাথায় শিলপাটা দিয়ে যেভাবে আঘাত করেন ফিরোজা তাতে শামীম বেঁচে আছেন এটাই সৌভাগ্যের বিষয়। দেশে পুরুষ নির্যাতন আইন না থাকায় শামীমের মতো ছেলেরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
দেবীগঞ্জ থানার ওসি জামাল হোসেন অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।