নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে বাসস্ট্যান্ডে হামলা চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। এ সময় তারা তিনটি বাস ও একটি অফিস ভাঙচুর করেছে।পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় তারা। এসব ঘটনায় উপজেলায় আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, যে কোনো মুহূর্তে আবারও বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয় লোকজন।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে বসুরহাট নতুন বাসস্ট্যান্ডে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লকডাউনের কারণে দূরপাল্লার বাসগুলো বসুরহাট নতুন বাসস্ট্যান্ডে পার্কিং করে রাখে বাস মালিক সমিতি। রাত ৮টার দিকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একদল যুবক বাসস্ট্যান্ডে অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তারা স্ট্যান্ডে থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আকরাম উদ্দিন চৌধুরী সবুজের তিনটি ড্রিমলাইন বাস ও ড্রিমলাইন কার্যালয় ভাঙচুর করে।
জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আকরাম উদ্দিন চৌধুরী সবুজ অভিযোগ করে বলেন, `মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ভাই শাহাদাত ও ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আমার তিনটি বাস ও অফিসে ভাঙচুর করেছে।`
এ বিষয়ে জানতে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ব্যবহৃত মোবাইল কল দিলে অপরিচিত একজন রিসিভ করে জানান, স্যার বিশ্রামে আছেন। কথা বলতে পারবে কি না জানতে চাইলে তিনি সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নাজিম উদ্দিন মিকনের নেতৃত্বে এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছি বলে জানা গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, ভাঙচুরসহ কোম্পানীগঞ্জের সকল ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি থেকে `শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বায়তুল মোকাররম মসজিদ বোমা মেরে উড়িয়ে দিলে দেশে দুর্নীতিবাজ এর সংখ্যা কমে যাবে` বলে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়।
এর জের ধরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ২০ থেকে ২৫ জন সমর্থক মির্জা বিরোধী স্লোগান দিয়ে একটি মিছিল নিয়ে বসুরহাট পৌরসভায় ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দিলে তারা উপজেলা গেইটে চলে যায়।
এর কিছুক্ষণ পর মেয়র মির্জার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে মির্জার অনুসারীরা থানার সামনে গেলে উভয় পক্ষের সমর্থকরা একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। ইটের আঘাতে তাশিক মির্জা ও আরমান চৌধুরীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়।