গাজীপুরে শ্রমিক আনা-নেয়ায় পরিবহন ব্যবস্থা এখনো উপেক্ষিত
17, April, 2021, 1:39:54:PM
সর্বাত্মক লকডাউনে গাজীপুরের বেশির ভাগ কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি অনেকটাই মানা হলেও সরকারি প্রজ্ঞাপনের শর্তানুযায়ী শ্রমিকদের আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে নিজস্ব পরিবহনব্যবস্থা এখনো উপেক্ষিত রয়ে গেছে। বেশির ভাগ শ্রমিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের আশপাশে থাকায় নিজস্ব গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়নি বলে জানায় পোশাক কারখানার কর্তৃপক্ষ।ভোর থেকে কয়েকটি শিফটে শরীরের তাপমাত্রা মেপে, জীবাণুনাশক চেম্বার হয়ে কর্মস্থলে প্রবেশ করেন শ্রমিকরা।
মৌচাকের একটি পোশাক কারখানার ফ্লোরে যেখানে আট লাইনে ৩৬০ জন শ্রমিক কাজ করতেন করোনা পরিস্থিতিতে-সেখানে ৬ লাইন করে চালানো হচ্ছে উৎপাদন কার্যক্রম। তবে সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখীর দুঃসময়ে কর্মস্থলে স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও পরিবহনব্যবস্থা না থাকায় স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বলছেন শ্রমিকরা।
অবশ্য পরিবহনব্যবস্থা নেই স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ বলছে, দূরের শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় আলোচনা চলছে।
সাদমা গ্রুপের পরিচালক সোহেল রানা বলেন, এ মুহূর্তে আমাদের পরিবহনের কোনো সুবিধা নেই। যেহেতু আমাদের শ্রমিকরা আশপাশে থাকেন, দূরের শ্রমিকদের পরিবহনে করে আনা-নেয়ার ব্যবস্থার কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
কোনো কারখানা স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান বিজিএমইএ পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন।
তিনি আরো বলেন, সবার আগে জীবন, সবার আগে বেঁচে থাকা, আমাদের মূল টার্গেট যারা এগুলো (সরকারি নির্দেশনা) মানবে না আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
শিল্প পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, প্রায় তিন হাজারের মতো তৈরি পোশাক কারখানা রয়েছে গাজীপুরে। এর মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় কাজ করেন প্রায় ২২ লাখ শ্রমিক।