দেশব্যাপী সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুরপাল্লার কোনো যানবাহন না থাকায় চাপ বেড়েছে ভালুকা উপজেলার স্থানীয় সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটো রিকশাগুলোর।
দুই থেকে তিনগুণ ভাড়া বেশি দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন সাধারন যাত্রীরা। ওইসব অটো চালকেরাও লকডাউনের বিষয়টি মাথায় রেখে সুযোগ সন্ধানির মত সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে ডাবল, রি-ডাবল ভাড়া।
নিরুপায় আর দিশেহারা ওইসব সাধারণ যাত্রীরা একমত বাধ্য হয়েই সড়কের ব্যাটারি চালিত অটোগুলোকে পরিবহনের বাহন হিসেবে বেছে নিচ্ছেন।
মহাসড়কসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়ক ঘুরে জানা যায়, প্রতিদিনই কিছুনা কিছু প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হয় গ্রাম শহরের মানুষজনদের। সড়কে যাত্রীবাহী কোনো যানবাহন না থাকায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। প্রচন্ড গরম আর রোদ সহ্য করে যদিওবা অটোরিকশার দেখা মেলে তাতেও ভাড়া নিয়ে বাধে যত গন্ডগোল-তর্কবিতর্ক। করোনা মহামারিকালে চালকরা পুরোদমে মানুষের ভোগান্তির বিষয়টি মাথায় নিয়ে ইচ্ছেমত ভাড়া আদায় করছে।
তাছাড়া সড়কে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়েও কোন যানবাহনের দেখা মিলছেনা। এতে করে গন্তব্যে যাওয়া নিয়ে এক চরম ভোগান্তির মুখে পড়ছে সাধারন যাত্রীরা।
ময়মনসিংহ সদরে রোগী দেখতে যাওয়া এক দর্শনার্থী ভালুকা বাসস্ট্যান্ডে এসে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে আছেন। গরমে আর রোদে তার অস্বস্থির বিষয়টি চোখে মুখে ফুটে উঠছে। আগ বাড়িয়ে কথা বলি তার সঙ্গে। তিনি জানান, রোগী দেখতে ময়মনসিংহে যাব কোনো ব্যবস্থা নাই। আগে তো স্থানীয় পিকআপ মিনিবাসগুলো সড়কে থাকতো। এখন সেটাও নেই। সিএনজি ও অটো রিকশায় যাওয়ার জন্য চালককে বললে, তারা যে ভাড়া দাবি করে তাতে যাওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু কি আর করা ভাড়া দ্বিগুণ তিনগুণ হলেও আমাকে যেতে হবে।
অন্যদিকে ভালুকায় গত দুদিনের চেয়ে লকডাউনে উপজেলা সদরে মানুষের চলাচল বেড়েছে। সড়কে জনসমাগম দেখা যাচ্ছে। দোকানপাঠ তেমন ভাবে না খুললেও কিছু কিছু দোকান খুলতে শুরু করেছে।
ট্রাফিক পুলিশের এস আই রাজিব জানান, দেশে করোনার প্রকোপ বেড়েছে। সেই সাথে বেড়েছে মৃত্যুর হার। সরকারি নির্দেশ। আমাদের মানতেই হবে। করোনা থেকে মানুষকে বাঁচাতে আমাদেরকে কঠোর অবস্থান নিতেই হবে। এতে সাধারণ মানুষের কিছুটা অসুবিধা হলেও আমাদের কিছু করার নেই। আমরা কোনো যাত্রীবাহী যানবাহন সড়কে উঠতে দিচ্ছিনা। উঠলেই বিধি অনুসারে জরিমানা করা হচ্ছে।