আরিফ রববানী ময়মনসিংহ।। বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেওয়া মরনঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমন, নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান দায়িত্বশীল কর্মতৎপরতায় উপজেলার সর্বমহলে প্রশংসিত হয়ে উঠেছেন। এ ভাইরাস সংক্রমন রোধ ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা সৃষ্টি, প্রবাস ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা, দ্রব্যমূল্যের কৃত্রিম সংকট ও উর্দ্ধগতি নিয়ন্ত্রণে প্রথম থেকেয় উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় অভিযান অব্যাহত রেখেছেন নিবেদিত প্রাণ এ ইউএনও মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান । জানা গেছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি আতংকে পরিনত হওয়ার সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ১টিপৌরসভা সহ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের সকল হাট-বাজার, গ্রামীন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান ও বিভিন্ন সড়ক-উপসড়কে মাইকিং করে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার শুরু করেন। এছাড়া বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং হোম কোয়ারেন্টাইন আইন অমান্যকারী বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের জরিমানা এবং সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ১৪এপ্রিল থেকে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে এ দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধিকারি দোকানদার, ও বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টাইন আইন না মানার অভিযোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান । সেই ধারাবাহিকতায় তিনি ১৬ই এপ্রিল শুক্রবার লকডাউন পরিস্থিতিতে ত্রিশাল উপজেলার কালীর বাজারে সচেতনতা মূলক কার্যক্রম ও মাস্ক বিতরন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান ও সেচ্ছাসেবক ৩নংকাঁঠাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন কামাল ।এসময় উপস্থিত ছিলেন কালীর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। এ সময় কাঁঠাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন কামাল জানান, ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান অত্যন্ত পরিশ্রমী একজন কর্মকর্তা। তিনি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন এবং উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালনসহ উপজেলার প্রতিটি মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছেন।তিনি জানান, ইউএনও মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান যোগদানের পর থেকেই জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে রাত-দিন বাঘাবাসীর জন্য নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এমন নিষ্ঠাবান-কর্মঠ ও মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন ইউএনও অতীতে খুব কম পেয়েছে। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় তিনি ত্রিশালে যে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন তাও নজিরবিহীন। তাঁর কর্মকান্ডে মনে হচ্ছে তিনি কেবল ইউএনও নন, উপজেলার একজন সচেতন অভিভাবকও। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার শুরু থেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিলো। প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে জনসচেতনতা মূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিলেন। সেক্ষেত্রে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। উপজেলার জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে এবং করোনা ভাইরাস বিস্তাররোধে তিনি নানামুখী কর্মকান্ড শুরু থেকে প্রতিনিয়ত অব্যাহত রেখেছেন। তিনি দিবারাত্রি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ইউএনও কে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা দিয়ে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান চেয়ারম্যান কামাল। একই সাথে উপজেলাকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অসামান্য অবদান রেখে যাচ্ছেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ত্রিশালে যোগদানের পর থেকে প্রজাতন্ত্রের একজন সেবক হিসেবে অর্পিত দায়িত্ব পালন করছি মাত্র। করোনা পরিস্থিতিতেও সরকারি নির্দেশনা মতে কাজ করে যাচ্ছি। সারাদেশের ইউএনও-এসিল্যান্ডসহ সরকারি কর্মকর্তারা যেভাবে কাজ করছে আমিও সেভাবে কাজ করছি। চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় অনেক জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি, পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকসহ অনেকে সার্বিক সহাযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য তিনি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। ইউএনও আরো বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে সাধারণ মানুষ আতংকিত। ১টি পৌরসভা সহ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ভ্যান চালক, রিক্সা চালক, শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষ, ভিক্ষুক, অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের মাঝে ত্রান সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি। সংকটময় এ মুহুর্তে তাদের সাহায্যে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসা দরকার। তিনি করোনা সংক্রমন রোধে সবাইকে বাড়িতে অবস্থান করারও অনুরোধ জানান