বন্দরে পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করে আসার ৩০মিঃ পর সন্ত্রাসী হামলা থানায় জিডি
18, April, 2021, 10:27:41:PM
বন্দর থানাধীন সোনাকান্দা এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছোট বোনের স্বামীর হাতে বড় বোন যখম, বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলেও কাঙ্খিত কোন সমাধান না দেখতে পেয়ে ভূক্তভোগী বড় বোনের স্বামী রনি মির্জা সমস্ত বিষয় উল্লেখ করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ থানার মহব্বতপুর এলাকার মৃত আঃ জলিল মির্জার ছেলে রনি মির্জার শশুর বাড়ি বন্দরের সোনাকান্দা এলাকায়। তার শশুর শাশুড়ি অসুস্থ হওয়ায় তাদের দেখাশোনার জন্য রনি ও তার স্ত্রী কনিকা এখানে অবস্থান করছেন। কনিকার ছোট বোন ও তার স্বামী মিরাজের মধ্যে নিয়মিত দাম্পত্য কলহ বিরাজ করছে এবং এ নিয়ে লোকমুখে বলাবলি করা হচ্ছে বিধায় কনিকা ও তার স্বামী রনি বিষয়টি তাদেরকে অবহিত করে এবং কলহ ভুলে তারা মিলেমিশে থাকার পরামর্শ দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিবাদী নুর হোসেন মৃধা, মঞ্জু বেগম ও রফিকের নির্দেশক্রমে বিবাদী মিরাজ পিতাঃ নুর হোসেন মৃধা ২৬/০৩/২১ইং তারিখে সোনাকান্দাস্থ রনি মির্জার শশুর বাড়িতে হামলা চালায়। তা দেখতে পরদিন রনি তার শশুর বাড়িতে গেলে দুপুর বেলা মিরাজ তার বায়রা রনি ও তার স্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেয়। ঐদিনই রাত ১০টায় মিরাজ ও আরও অজ্ঞাত ৭/৮ জন লোক নিয়ে রনি ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে সমগ্র বাড়ি সারা রাত ঘেরাও দিয়ে রাখে। এসময় তাদের হাতে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র ছিলো বের হলেই প্রাণে মেরে ফেলবে তারা এমন প্রস্ততি নিয়ে রাখে।
২৮/০৩/২১ইং তারিখে সকালে থানার উদ্দেশ্যে বের হলে বিবাদী নুর হোসেন মৃধা, মঞ্জু বেগমের নির্দেশে বিবাদী মিরাজ ও আরও ৩/৪জন রনির গতিরোধ করে এবং বলে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ করা হলে জীবিত অবস্থায় তাদেরকে কবর দিয়ে দেয়া হবে। একথা বলতে বলতে তাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কনিকার উপর আঘাত করে এবং গলাটিপে তাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। তাদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায় এবং স্থানীয় এলাকাবাসী কনিকাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রæত বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হলেও কোন কার্যকর সমাধান না দেখতে পেয়ে ভূক্তভোগী রনি মির্জা সুবিচার পেতে এবং জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র স্বরাষ্ট্র সচিবের বরাবর এবং র্যাবের মহাপরিচালক, ডিআইজি পুলিশ-সিআইডি, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার ও বন্দর থানার ওসিকে অনুলিপি দিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সে অভিযোগের ভিত্তিতে ১৭ এপ্রিল শনিবার বন্দর থানা থেকে একজন উপ পরিদর্শক তদন্তে আসে এবং পরক্ষণে দুপুর দেড়টায় তারা পুনরায় রনি মির্জার শশুর বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় বাধা দিলে কনিকাকে আবারও মারধর করে নীলাফুলা ঝখম করে এবং এ বিষয়ে কোথাও কোন অভিযোগ করলে খুন করে ফেলার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে (১৮ এপ্রিল) রোববার দুপুরে রনি মির্জা বাদী হয়ে বন্দর থানায় নুর হোসেন মৃধা, মঞ্জু বেগম, মিরাজ মৃধা সাং-সোনাকান্দা ও রফিক সাং-হাজীপুরকে বিবাদী করে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। বর্তমানে বাদী পক্ষের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগীরা।