ভালুকায় লকডাউনে কিস্তির চাপে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ ও ব্যবসায়ীরা।
19, April, 2021, 12:32:25:PM
আবু ইউসুফ ভালুকা প্রতিনিধি বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়রে সাতদিনের কঠোর লকডাউনের মধ্যে বিভিন্ন এনজিও এবং সমিতি ক্ষুদ্র ঋণগ্রহিতাদের কাছ থেকে কিস্তির টাকা আদায়ে চাপ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।এনজিওর কিস্তি দিতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। করোনাভাইরাস আতঙ্কে হাট-বাজারে মানুষ নেই। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের আয় নেই। খেটে খাওয়া মানুষেরা হয়ে পড়ছেন বেকার। এমতাবস্থায় এনজিওর সাপ্তাহিক ও মাসিক কিস্তির টাকা জোগাড় দূরের কথা খাবার কেনার টাকা জোগাড়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।ভালুকা উপজেলায় শতাধিক এনজিও নিয়মিত ঋণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এসব এনজিও থেকে কয়েক হাজার মানুষ ঋণ সংগ্রহ করেছেন। এতে ঋণগ্রহীতারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।ভুক্তভোগীরা জানায়, কিস্তির টাকা না দিলে কর্মীরা টাকার জন্য রাত অবধি বাড়ীতে বসে থাকেন, গালমন্দ করেন, হুমকি দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চা দোকানদার জানান, করোনাভাইরাসের কারণে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করায় মানুষ ঘর থেকে কম বের হন। দোকানপাট বন্ধ থাকায়ইনকাম ও বন্ধ ঠিক মতো দুবেলা দুমুঠো ভাতের জোগাড় করা যেখানে কষ্টসাধ্য সেখানেআবার কিস্তি দেব কোথায় থেকে।সরকারের পক্ষ থেকে এই ৭ দিনের কঠোর লকডাউনের দুর্যোগকালীন সময়ে কিস্তি আদায়ে ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকায় হতদরিদ্র থেকে মধ্যবিত্ত ব্যবসায়ীরাও পরেছেন এখন বিপাকে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন এই কঠোর লকডাউনে এমনিতেই আমাদের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে তার পরেও এনজিও এবং সমিতির লোক গুলো কিস্তির টাকার জন্য বাসায় চলে আসে। এমন পরিস্থিতিতে কিস্তির টাকা প্রদানে অপরাগতা প্রকাশ করলেই আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার সহ চাপ প্রয়োগ করে থাকেন। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে এর একটা সমাধান চাই যাতে করে লকডাউনের মধ্যে আমাদেরকে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না হয়।এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা খাতুন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন। করোনার দ্বিতীয় ধাপ মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের নির্দেশনায় কিস্তি আদায় কিংবা পরিশোধ করার বিষয়টি উল্লেখ না থাকায় কোন ব্যবস্থা নিতে পারছিনা।