গণমাধ্যমে বৃদ্ধা রুমেছা খাতুনের মানবেতর জীবন ধারনের খবরে শেরপুরের নকলা উপজেলার বানেশ্বরদী গ্রামে ওই বৃদ্ধাকে দেখতে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে বিধবা অতিদরিদ্র ৮০ বয়সি বৃদ্ধা রুমেছা খাতুনের জরাজীর্ণ ঘরটি পরিদর্শনে গিয়ে ইউএনও তাকে সরকারি ঘরের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
এ সময় তিনি খুশি হয়ে বৃদ্ধা রুমেছা খাতুন বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ইউএনওকে দোয়া করেন।
রুমেছা খাতুনের ঝুপড়ি পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন, বানেশ্বরদী ইউপি চেয়ারম্যান মাজহারুল আনোয়ার মহব্বত, নকলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোশারফ হোসাইন, সহ-সভাপতি খন্দকার জসিম উদ্দিন মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক নূর হোসেন, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আমিন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান সৌরভ, সদস্য মোফাজ্জল হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহম্মেদ প্রমুখ।
ইউপি চেয়ারম্যান মহব্বত বলেন, বৃদ্ধার নিজের কোনো জমি নেই, তাই তাকে গুচ্ছগ্রামে যেতে বলা হয়। কিন্তু সেখানে তিনি একাকি যেতে রাজি হয়নি। এজন্য তাকে ঘর দেওয়া সম্ভব হয়নি।
ইউএনও জাহিদুর রহমান জানান, দ্রুত সময়েই প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর পাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিশেষ আবেদন করা হবে।
প্রকাশ বানেশ্বরদী গ্রামে রুমেছা ৩৫ বছর আগে স্বামী হারিয়ে বিধবা হন। একমাত্র কন্যাকে বিশ বছর আগেই বিয়ে দেয়। এরপর থেকে অনাহারে-অর্ধহারে তার দিন কাটছে। দীর্ঘদিন ধরে পলিথিন ও সিমেন্টের বস্তা দিয়ে মোড়ানো ঝুপড়ি ঘরে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন ধারন করেন রুমেছা খাতুন।