যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া ১০ করোনা রোগীকে আজ সোমবার বিকেলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। যশোর জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসান বিকেল সাড়ে ৫ টায় কালের এ তথ্য জানান।
মাহমুদুল হাসান জানান, পালিয়ে যাওয়া ১০ জনের মধ্যে ভারত ফেরত ৭ জন। তারা ভারত থেকেই করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে আসেন। বাকি ৩ জন যশোরের। তাদের প্রত্যেকের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা সুস্থ আছেন। তাদের শারীরিক উপসর্গ নেই। তবে করোনা নেগেটিভ না হওয়া পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের দায়িত্ব নিয়েছে।
উল্লেখ্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে দশজন করোনা রোগী পালিয়ে যান। তাদের মধ্যে ৭ জন ভারত ফেরত। গতকাল শনিবার সকাল থেকে রবিবার দুপুরের মধ্যে তারা পালিয়ে যান। হাসপাতালের নার্স ও কর্মচারীদের অবহেলার কারণে তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এতে করে সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী করোনাভাইরাসের ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার আশংকা দেখা দেয়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ২৩ এপ্রিল সকাল দশটা ৫৭ মিনিটে ভারতফেরত কিছু রোগীকে ভর্তি করা হয়। এরপর রবিবারও রোগী আসে। সবমিলিয়ে দুইদিনে দশজন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের সবাইকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। হাসপাতালের ভর্তি রেজিস্টার মতে, ভর্তি রোগীরা হলেন, যশোর শহরের বিমান অফিস মোড়ের আবুল কাসেমের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৫৭), সাতক্ষীরা আশাশুনির জালাল হোসেনের ছেলে মিলন হোসেন (৩২), সাতক্ষীরা কালিগঞ্জের মনতোষ সর্দারের স্ত্রী শেফালি রানী (৪০), যশোর সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের একরামুল কবীরের স্ত্রী রুমা (৩০), যশোর শহরের খালধার রোডের বিশ্বনাথের স্ত্রী মনিমালা দত্ত (৪৯), রাজবাড়ী রামকান্তপুরের গোলাম রব্বানির মেয়ে নাসিমা আক্তার (৫০), খুলনা পাইকগাছার আহমদ সানার ছেলে আমিরুল সানা (৫২), যশোর শহরের ওয়াপদা গ্যারেজ এলকার মৃত ভদ্র বিশ্বাসের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস (৩৭), খুলনা সদরের কলিম কৃষ্ণের ছেলে বিবেকানন্দ (৫২) ও খুলনা রূপসা এলাকার শের আলীর ছেলে সোহেল সরদার (১৭)। তাদের মধ্যে রুমা, ফাতেমা ও মনিমালা দত্ত যশোরের। বাকি ৭ জন ভারত ফেরত।
এ ব্যাপারে জানার জন্য বিকেলে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ কুমার রায়কে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ম্যাসেজ দিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।