শুষ্ক মৌসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যবস্থা না নেয়ায় বৈশাখেই পদ্মার ভাঙনের মুখে পড়েছে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ির নদীঘেঁষা গ্রামগুলো। এতে আতংকে আছেন প্রায় ১৫টি গ্রামের বাসিন্দারা।বৈশাখী বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে পদ্মার ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরের জনপদে। ঠিকানা হারানোর শঙ্কায় দিন কাটে নদী তীরের মানুষের। জেলার লৌহজংয়ের খড়িয়া, দক্ষিণ হলদিয়া, কনকসার, সন্ধিসার, বেজগাঁও, গাঁওদিয়া, ডহরী, কলমা এবং টঙ্গীবাড়ির মূলচর, হাইয়ারপাড়, শরিষাবন, সাতপচর, ধানকোড়া ও কান্দারবাড়ি গ্রামে এখন ভাঙন আতঙ্ক।
পদ্মার ভাঙনে গত বর্ষায় লৌহজংয়ের ৯টি গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তাই শুস্ক মৌসুমে ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষোভ জানান ওইসব গ্রামবাসী।
ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নসহ আগাম ব্যবস্থার কথা জানান মুন্সীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. রকিবুল ইসলাম ও মুন্সীগঞ্জ-২ সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি।
পদ্মার ভাঙন থেকে উত্তর দিঘলী-বড় নওপাড়া-ভোজগাঁও চরের যেটুকু এখনো আছে, তার অস্তিত্বও যে কোনো সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে।