দনাজপুরের পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া পাথর খনি ২০ কোটি টাকার পাথর বিক্রি
29, April, 2021, 11:29:15:PM
এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি- দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জার্মাানীয়া-ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) করোনার লকডাউনেও কঠোর স্বাস্থ্য বিধি মেনে উৎপাদনের চাকা সচল রেখে এপ্রিল মাসে খনি কর্তৃপক্ষ প্রায় ২০ কোটি টাকার রেকর্ড পরিমানে পাথর বিক্রি করেছে। দেশে করোনার লকডাউনে কল কারকানা বন্ধ। কর্মহীন মানুষের জীবন জীবিকার যুদ্ধে দিশেহারা মানুষ। করোনার এই লকডাউনেও সচল রয়েছে মধ্যপাড়া পাথর খনি এলাকার জীবিকা। ফলে করোনার অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েনি পাথর খনি এলাকার অর্থনীতিতে। প্রতিদিন ভোর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাথর নিতে আসা ট্রাক খনির মেইন গেটের প্রধান সড়কে লাইন হয়ে দাড়িয়ে আছে। বর্তমানে প্রতিদিন ২ শতাধিক ট্রাক বিক্রিত পাথর খনি থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে পাথর পরিবহন ও ত্রেতাদের পদভারে মুখরিত খনি এলাকা। জমে উঠেছে খনি কেন্দ্রীক গড়ে উঠা ব্যবসা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলো। পাথর খনি সুত্র জানায়, বর্তমানে বিভিন্ন ইয়ার্ডে পাথর মজুদ রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৬২ হাজার মেট্রিক টন। জিটিসি কর্তৃক রেকর্ড পরিমান পাথর উত্তোলনে খনির বিভিন্ন ইয়ার্ডে মজুদ থেকে চলতি মাসে পাথর বিক্রি আগের বিক্রির সব রেকর্ডকে ছাড়িয়েছে। পাথর বিক্রির রেকর্ড পরিমানে হওয়ায় চলতি অর্থবছরেও (২০২০-২০২১) ৩য় বারের ন্যায় মধ্যপাড়া পাথর খনি লাভজনক হবে এবং বর্মবর্তা কর্মচারীরা আবারও গত দুই অর্থ-ব্ছরের ন্যায় প্রফিট বোনাস পাবেন বলে তারা আশাবাদী। মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানী লিমিটেড (এমজিএমসিএল) এর মহা-ব্যবস্থাপক (ইউজিওএন্ডএম) আবু তালেব ফরাজী আমাদের দিনাজপুর প্রতিনিধিকে জানান, এপ্রিল মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত ৯৭ হাজার মেট্রিক টন পাথর বিক্রি হয়েছে। যার আনমানিক মূল্য কোটি টাকা। খনি থেকে প্রতিদিন গড়ে পাথর উত্তোলন হচ্ছে ৪ হাজার মেট্রিক টন এবং বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন। গত দু বছর থেকে খনিটি লাভনক রয়েছে এবং এই ধারা অব্যাহত থাকবে আশা করা যায়। উল্লেখ্য পাথর খনিতে অর্ধশতাধিক বিদেশী খনি বিশেষজ্ঞ ও দুই শতাধিক দেশী কর্মকর্তা কর্মচারী এবং সাড়ে ৭ শত শ্রমিক তিন শিফটে কাজ করছেন। করোনার প্রাদূর্ভাবের মধ্যেও দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের মধ্যপাড়া পাথর থনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জিটিসি’র আন্তরিক প্রচেষ্ঠায় এবারও অর্জিত হয়েছে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা এবং টানা তিন বছর ধরে লাভজনক অবস্থায় রয়েছে পাথর খনিটি। পাশাপাশি টিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি জিটিসি খনি এলকায় চ্যারিটি হোম স্থাপন করে খনি এলাকার মানুষের সামাজিক বিভিন্ন জনকল্যানমূলক কার্যক্রম এবং বিন্যামূল্যে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমও চালাচ্ছে। দেশের উত্তর অঞ্চলের পার্বতীপুর উপজেলার মধ্যপাড়া পাথর খনিটি বে-সরকারী সংস্থা জিটিসি হাতে নেওয়ার পর ভূ-গর্ভ থেকে পাথর উৎপাদন ব্যপক বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার এখান থেকে বিপুল পরিমান রাজস্ব আয় করছেন।