নির্বাচনেও সে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সব দিক বিবেচনা করে দল আমাকেই প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করবেন। তিনি বলেন, ‘বিদ্রোহীদের ব্যাপারে আমাদের সরকার কঠোর অবস্থান রয়েছে। যারা বিগত সময়ে বিদ্রোহী হয়েছিলেনে এবং নৌকার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে কাজ করেছেন তারা কখনো দলীয় মনোনয়ন কিংবা পদ-পদবিও পাবেন না। গত কিছুদিন আগে অনেকে নানা দল থেকে যোগদান করে আওয়ামী লীগার হয়ে গেছেন। মনোনয়নের ব্যাপারে দল সতর্ক রয়েছে। কোনো স্বাধীনতা বিরোধী, কিংবা অন্য দল থেকে আসা কাউকে মনোনয়ন দেবে না। সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, ত্যাগী ও পরীক্ষিত ব্যক্তির হাতেই নৌকা তুলে দেওয়া হবে বলে আমি আশা করি।আওয়ামী লীগ ইউপি নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য এরই মধ্যে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছে। এ জন্য দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো যারা দীর্ঘদিন দল করছেন কিন্তু কোনো মূল্যায়িত হননি তাদের খুঁজে বের করে নৌকা দিয়ে মূল্যায়ন করা হবে। ‘দুর্নীতিবাজ’ বা ‘ইমেজ সংকট’ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের মনোনয়ন না দিয়ে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। গণমানুষের কাছে যে ব্যক্তির গ্রহণযোগ্যতা সবচেয়ে বেশি তাকেই ইউনিয়ন পরিষদে প্রার্থী করা হবে। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ যথেষ্ট খোঁজখবর নিচ্ছে। যার বিরুদ্ধে গণমানুষের কিংবা রাষ্ট্রের অভিযোগ রয়েছে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না।এবারের ইউপি নির্বাচনে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন দলীয় প্রধান। ইউপি নির্বাচনে ‘বিদ্রোহী প্রার্থী’ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করেছেন এমন কাউকে এবারের ইউপি নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলে আমি মনে করি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী করার ক্ষেত্রে এবার গুরুত্ব দেওয়া হবে। আগে দেখা গেছে, সংসদ সদস্য কিংবা উপজেলা চেয়ারম্যানদের আত্মীয়স্বজনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হতো। এবার সে ধারা আর দেখতে চান না দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা।এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হওয়ায় গ্রামগঞ্জে সম্ভাব্য প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে ইতোমধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগে দলীয় প্রতীক পেতে তৃণমূলের অন্যান্ন সম্ভব্য প্রার্থীদের পাশাপাশি রাইসুল ইসলাম রুবেল ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং পাড়া মহল্লায় উঠান-বৈঠক সহ নির্বাচনের ব্যাপারে এলাকাবাসীর মতামত জানতে একাধিক বৈঠক করে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন নির্বাচনের দিনকাল ঠিক না হলেও দলীয় নেতাদের নিয়ে ভোটারদের সাথে নিয়ে। এ দলীয় প্রতীক পেতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করবো মনোনয়ন ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। এক প্রশ্নের জবাবে রুবেল বলেন, যদি দল আমাকে মনোনয়ন নাও দেয়, দলীয় প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার ইউনিয়নে যার হাতে নৌকা তোলে দিবেন দলের স্বার্থে আমি আমার পক্ষ থেকে নৌকাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে প্রতিবারের ন্যায় সর্বোচ্চ সহযোগীতা করবো।