কুমিল্লার দেবিদ্বারে বাতিজির হাতে আপন চাচা ও তার স্ত্রী আহত!
2, May, 2021, 11:55:17:AM
আব্দুস সালাম মিন্টু তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার ১১নং রাজামেহার ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের চাটুলী যোগতী গ্রামের বজলু মিয়ার মেয়ে রাবেয়া (২৫) ও তার স্বামী খলিলের (৩০) এর হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছে রাবেয়া বেগমের আপন কাকা ও তার স্ত্রী।
জানা যায়, রাবেয়ার নাবালক শিশু পুত্রের একটি মিথ্যা অভিযোগ শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে রাবেয়া বেগম তার আপন চাচাতো ভাই আরিফের শার্টের কলারে ধরে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে। রাবেয়া বেগমের হাত থেকে ছেলে আরিফকে বাঁচাতে দেলুশা বেগম এগিয়ে আসলে রাবেয়া বেগম আরিফকে ছেড়ে দিয়ে তার পাশে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে রাবেয়ার আপন জেঠি দেলুশা বেগমকে মাথায় ও শরীরে আঘাত করতে শুরু করে। দেলুশা বেগমের চিৎকারে তার স্বামী আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা শাজাহান মিয়া এগিয়ে আসলে রাবেয়া ও তার বাবা বজলু মিয়া শাহজাহানকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে তার শরীর থেতলে দেয়।
এলাকাবাসীর একাধিক সূত্রে জানা যায়, রাবেয়া বেগম তার স্বামীর বাড়ি গাংচর ফেনাপুকুরিয়াতেও সামান্য কিছু হলেই বডি’দা দিয়ে অসংখ্য নারী পুরুষ ও শিশুকে আক্রমন করার চেষ্টা করে। এখন পর্যন্ত লাঠি দিয়ে আঘাত করে মায়ের বয়সী বেশ কয়েকজন চাচি শাশুড়িদেরকে নির্যাতন করেছে এই রাবেয়া বেগম।
তার স্বামীর বাড়ীর মারামারির ঘটনায় এলাকার মেম্বার সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা অনেকবার গ্রামে বিচার-সালিশির মাধ্যমে রাবেয়া বেগমের বিচার করেছে।
রাবেয়া বেগমের হিংস্র আক্রমণ ও মুখের অশালীন ভাষা গালাগালিতে অতিষ্ঠ হয়ে কিছুদিন আগে দেবিদ্বার থানায় রাবেয়া বেগমের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন একজন নারী। অভিযোগের ভিত্তিতে দেবিদ্বার থানার এসআই আলমগীর অভিযোগ তদন্ত করতে ফেনাপুকুরিয়া আসলে রাবেয়া বেগম এবং তার স্বামী খলিল পালিয়ে যায়। বিষয়টি এখনো নিষ্পত্তিহীন অবস্থায় রয়েছে।
রাবেয়া বেগমের শাশুড়ি তাহেরা বেগম বলেন, রাবেয়া বেগম আমাকে সহ আমার ছেলে খলিলকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য বটি’দা দিয়ে কয়েকদিন আক্রমণ করেছে। কিছুদিন পূর্বে আমার ছেলে খলিলের পুরুষাঙ্গে লাথি মেরে গুরুতর আহত করেছে। স্ত্রীর এমন নির্যাতন সইতে না পেরে রাবেয়া বেগমের স্বামী খলিল মিয়া রাবেয়াকে আদালতের মাধ্যমে তালাক প্রদান করে কিন্তু খলিল মিয়ার ঘনিষ্ঠজন কাশেম মাঝির হুমকিতে খলিল মিয়া আবারো রাবেয়া কে নিয়ে সংসার করতে বাধ্য হয়।
আপন ভাতিজি ও জামাতার হতে জেঠা জেঠিকে নির্যাতনের ঘটনায় দেলুশা বেগম ৬জনকে বিবাদী করে দেবিদ্বার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন