ভোটে হেরেও যেভাবে নেপালের প্রধানমন্ত্রী হলেন কেপি শর্মা
15, May, 2021, 11:49:24:PM
আস্থা ভোটে হেরেও নেপালের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নিয়োগ পেয়েছেন কে পি শর্মা ওলি। পার্লামেন্টে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ফের প্রধানমন্ত্রী পদ ফিরে পেলেন তিনি।
পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, গত সোমবার পার্লামেন্টে হওয়া আস্থা ভোটে হেরে যান কে পি শর্মা ওলি। কিন্তু অন্য বিরোধী দলগুলো নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পারায় গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী প্রধানমন্ত্রী পদে ফের নিয়োগ দেন ৬৯ বছর বয়সী ওলিকে। এ-সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে প্রেসিডেন্টের দপ্তর।
রাজনৈতিক দল সিপিএন-ইউএমএলের চেয়ারম্যান কে পি শর্মা ওলি। নেপালের সংবিধানে থাকা নিয়ম অনুযায়ী, পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ পেয়েছেন ওলি।
নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার নেপালের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে আস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ২৭১ আসনের পরিষদে ভোট দেন ২৩২ জন আইনপ্রণেতা। তাদের মধ্যে ৯৩ জন ওলির পক্ষে ভোট দিয়েছেন আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১২৪টি। আর ১৫ জন আইনপ্রণেতা ভোটদানে বিরত থাকেন। আস্থা ভোটে জয় পেতে প্রধানমন্ত্রী ওলির ১৩৬ ভোট প্রয়োজন ছিল।
প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা-সমালোচনা চলে নেপালে। জোট সরকার গঠনে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছিল দেশটির প্রেসিডেন্টের দপ্তর। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যে কোনো দুটি রাজনৈতিক দল জোট গঠনে ব্যর্থ হওয়ায় ওলিকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়।
২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি নেপালে সরকার গঠন করেছিলেন ওলি। কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের (মাওয়িস্ট সেন্টার) আইনপ্রণেতাদের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করেছিলেন ওলি। নতুন সংবিধান গ্রহণের পর দেশটিতে তিনিই প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী।