তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সখিপুর উপজেলার বহেড়াতৈল ইউনিয়ন পরিষদের ঘাটেরশ্বরি এলাকায় তিন পরিবারের মধ্যে মারামরির ঘটনায় ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, রবিবার সন্ধায় উপজেলার বহেড়াতৈল ঘাটেরশ্বরি এলাকায় বাড়ীর পাশে চায়ের দোকানে মইটার ছেলে জামাল হোসেন (৫৫)এর সাথে পল্লী বিদ্যুৎ এর খুঁটি নিয়ে কথা কাটাকাটি হচ্ছিলো পাশের বাড়ীর আজাহার আলীর ছেলে প্রবাসী মেহেদী (২৫)এর সাথে।আজাহার আলীর বাড়ীর উপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ এর খুঁটি যাওয়ার কারনে তার ছেলেরা প্রতিবেশীদের (বাড়ীর উপরের খুঁটি থেকে) বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে দিবে না।এই কথা নিয়ে ঝগড়াঝাটি শুরু হয়।জামাল এবং মেহেদীর সাথে এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।পাশে থাকা কায়েম মন্ডলের ছেলে জুমু মিয়া (৫৮) মেহেদী কে শাসিয়ে বাড়ী পাঠিয়ে দেয়।কিছু খন পড়ে আজাহারের তিন ছেলে আরিফুল ইসলাম (৩২) মাটি ব্যবসায়ী, মেহেদী হাসান (২৫) প্রবাসী, আতিকুর রহমান (২২)কলেজ ছাত্র দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জুমু মিয়াকে এলোপাতাড়ি কুপাতে শুরু করে,মাথায় কুপ লাগার কারনে মাটিতে ঢলে পড়ে। সে সময় জুমু মিয়ার ছেলে জিয়া (২৬) বাঁধা দিলে তাকেও কুপিয়ে আহত করে।আহত তিনজন কে সাথে সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্বজনরা। কর্তব্যরত ডাক্তার জামাল মিয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন।বাবা ছেলে জুমু মিয়া এবং জিয়ার অবস্থা অবনতি দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য টাংগাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেরন করেন।
মাটি ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম এলাকায় বিভিন্ন সন্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জরিত। তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে।
আতিকুর রহমান নিজেকে ছাত্র লীগের বড় নেতা দাবি করেন।
এবিষয়ে সখিপুর থানার এস আই ওমর ফারুক বলেন মারামারি ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।