মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি ফুলবাড়ীতে মাদকের রমরমা ব্যবসা দেখার কেউ নেই। সারা দেশে যখন মাদক নির্মূলে প্রশাসন গলা ফাটাচ্ছেন তখন ফুলবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদকের রমরমা ব্যবসা চলছে। আইন প্রয়োগ কারী সংস্থা তাদের সোর্সের মাধ্যমে যতটুকু পারছে ছোট খাটো মাদক ব্যবসায়ীদেরকে ধরছে। কিন্তু মাদক ব্যবসার সাথে যারা জড়িত সেই সব রাঘোব বোয়ালদেকে ধরছে না স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। এই ভয়াল মাদক যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। মাদক বিক্রয় বন্ধকল্পে প্রশাসন ঝটিকা অভিযান চালালেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কতিপয় ব্যক্তি আগে ভাগে জানিয়ে দিচ্ছেন মাদক ব্যবসায়ীদেরকে সেই কারণে অভিযান চালাতে গিয়ে চুনোপুটি তো ধরা পড়ছেনা। রাঘোব বোয়ালেরাও তো ধরা পড়ছে না। মাদকের গ্রাসে যুব সমাজেরা হাবুডুবু খাচ্ছে। বিশেষ করে ফুলবাড়ী উপজেলার মাদিলা, বারোকোনা গ্রাম, উত্তর বাসুদেবপুর পুরাতন বন্দর, রামভদ্রপুর, শিব নগর ইউপির আদিবাসী পাড়া, আলাদীপুর ইউপির দক্ষিণ বাসুদেপুর আদিবাসী পাড়া, পৌর এলাকার কাজিখানা, কাঁটাবাড়ী, বুন্দিপাড়া, কানাহার, বারাই, বেজাই, রুদ্রানী, আমড়া সহ বিভিন্ন এলাকার শতাধিক পয়েন্টে মাদক ব্যবসায়ীরা মোবাইলের মাধ্যমে মাদক বিক্রয় করছে। বিশেষ করে ফেন্সিডিল, গাঁজা, ইয়াবা, হিরোইন, প্যাথিডিন ইনজেকশন, নেশা জাতীয় ট্যাবলেট ইত্যাদি মাদক বিক্রয় করছে। মোবাইলের খাপের মধ্যে করে ইয়াবা বিক্রি করছে। যার কারনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মাদক বিক্রেতাদেরকে ধরতে পারছেন না। ফলে মাদক বিক্রয় বন্ধ হচ্ছে না। বেশ কিছু মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গোপন আতাত রয়েছে। মাস গেলে বিকাশের মাধ্যমে তাদের বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছেন মাদক ব্যবসায়ীরা। এই মাদক বিক্রয় বন্ধ করতে না পারলে। মাদকের বিস্তার ঘটবে। যুব সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে। এ ছাড়া প্রতিদিন ফুলবাড়ীর রুট ব্যবহার করে বিভিন্ন যানবাহনে করে মাদক ব্যবসায়ীরা মাদক বহন করছে। এদের কেউ কেউ ধরা পড়লেও আদালত থেকে জাবিনে মুক্তি পেয়ে ফিরে এসে আবারও ঐ একই ব্যবসা শুরু করছেন। ফুলবাড়ীতে শতাধিক মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা থাকলেও তারা মাদক বিক্রি মোটেই বন্ধ করেননি। বর্তমান এদের বিরুদ্ধে সাড়াসি অভিযান না চালালে ফুলবাড়ীতে মাদক বিক্রি মোটেই বন্ধ হবে না। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কতিপয় দালাল রয়েছে চুনোপুটি মাদক ব্যবসায়ী আটক হলেও টাকার বিনিময়ে অতি গোপনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন ছেড়ে দেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যপারে বিভিন্ন মহল মাদক বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থানিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের আসু হস্তক্ষেক কামনা করেছেন।