ফেসবুকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত নিষিদ্ধ থাকছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অর্থাৎ সামাজিকমাধ্যমটিতে নিজের মনের কথা খুলে বলতে তাকে অন্তত দুটি বছর অপেক্ষা করতে হচ্ছে।-খবর আল-জাজিরার শুক্রবার (০৪ জুন) এক ঘোষণায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এমন তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে যারা নিয়ম লঙ্ঘন করবেন, তাদের ক্ষেত্রে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তারও একটি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন কংগ্রেস ভবনের হামলার পর গত জানুয়ারিতে দাঙ্গায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করেছিল ফেসবুক। কোনো রাষ্ট্রনেতার ক্ষেত্রে এমন নিষেধাজ্ঞা নজিরবিহীন।
পরে বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য ফেসবুকের ২০ সদস্যের ওভারসাইট বোর্ডে যায়, যা ফেসবুকের সুপ্রিমকোর্ট হিসেবে পরিচিত।
ওভারসাইট বোর্ড গত মে-তে ওই নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখে। তবে ট্রাম্পের ক্ষেত্রে চিরতরে নিষিদ্ধের যে সিদ্ধান্ত এসেছিল, তার সমালোচনা করে বোর্ড বলেছে—ওই সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করে এমন একটি যৌক্তিক সাজার ব্যবস্থা করতে হবে, যা সাধারণের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
যৌক্তিক শাস্তি নির্ধারণ করতে বোর্ড থেকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে ছয় মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। সেই সিদ্ধান্ত এক মাস পুরো হওয়ার আগেই জানিয়ে দিল ফেসবুক।
এক বিবৃতিতে ফেসবুকের বৈশ্বিক কার্যক্রম বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্লিগ বলেন, পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। আমরা মনে করি—তার কার্যক্রমে আমাদের নীতিমালার মারাত্মক লঙ্ঘন ঘটেছে। নতুন বিধিমালা অনুসারে এতে তিনি সর্বোচ্চ সাজা পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন।
কাজেই ৭ জানুয়ারি তার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পর আগামী দুই বছর তা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেসবুক।