এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধি - মঙ্গলবার সকাল থেকে এ লকডাউন কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে দিনাজপুর জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটি। লকডাউন চলাকালে সাতদিন ঘর থেকে বের হতে পারবে না সদর উপজেলার মানুষ। এমনই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে এই লকডাউনে। দিনাজপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত দিনাজপুর জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির জরুরী সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।করোনা মিডেল এ্যাড সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আগামী ১৫ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আগামী ২১ জুন লকডাউন চলাকালে দিনাজপুর সদর উপজেলার কোনো মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারবে না।
মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, কার-মাইক্রোবাসসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে, ওষুধ ও অত্যাবশকীয় পণ্য ব্যতীত সদর উপজেলার সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে।দিনাজপুর জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও দিনাজপুর জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকীর সভাপতিত্বে সভায় ভার্চুয়ালী যোগ দেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, দিনাজপুর জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ বিষয়ক সমন্বয়কারী ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নুরুল ইসলাম, দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বি পি এম, দিনাজপুর জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল কুদ্দুছ, দিনাজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরূপ বক্সী বাচ্চু, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, দিনাজপুর শিল্প ও বনিক সমিতির সভাপতি সুজাউর রব চৌধুরী, বিএমএ দিনাজপুরের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ বিকে বোস, দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাঃ শামীমা, দিনাজপুর মোটর পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাহেদ রিয়াজ চৌধুরী পিম, দিনাজপুর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল, দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, দিনাজপুর দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহির শাহসহ অন্যরা। সভায় ভার্চুয়ালী অংশ নিয়ে জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, গত ৬ জুন অনুষ্ঠিত দিনাজপুর জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভায় জীবন ও জীবিকার কথা ভেবে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। কিন্তু দিনাজপুর সদর উপজেলায় করোনা সংক্রমণ অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই উপজেলায় সংক্রমণের হার ৭৫ শতাংশে পৌচেছে। জীবিকার কথা বিবেচনা করে এখন মৃত মানুষের পরিবারের কান্না শুনতে হচ্ছে। এই অবস্থায় দিনাজপুর সদর উপজেলায় এক সপ্তাহের লকডাউন ছাড়া কোন উপায় নেই।এই লকডাউন কঠোরভাবে পালন করার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
দিনাজপুর জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ বিষয়ক সমন্বয়কারী ড. নুরুল ইসলাম বলেন, যেহেতু ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় প্রবেশ করেছে, সেহেতু এখন আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদিও লকডাউন একটি সাডেন সিস্টেম, এটা দীর্ঘস্থায়ী করা সম্ভব নয়। সেহেতু করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সকলকে সচেতন হতে হবে।