পার্বতীপুর উপজেলা সমবায় অফিসারের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা অনিয়মের অভিযোগ
17, July, 2021, 12:13:39:AM
মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি শারমিন আখতার পার্বতীপুর উপজেলা সমবায় অফিসার হিসেবে থাকাকালিন তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা ও টাকার আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায় শারমিন আখতার পার্বতীপুর উপজেলা সমবায় অফিসার পদে চাকুরী করাকালিন ১১০ সিসি ওয়ালটন মোটর সাইকেল দিনাজপুর জেলা সমবায় অফিস থেকে এনে ব্যবহার না করেও তেল খরচ ৭২০০০/= টাকা ও মেরামত খরচ ১৫০০০/= টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। এই অফিসারের মোটর সাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স নাই। মোটর সাইকেলটি বাসায় রেখে সরকারের কাছ থেকে মেইনটেনেন্স খরচ দেখিয়ে ৮৭০০০/= টাকা উত্তোলন করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এই সাবেক উপজেলা সমবায় অফিসার পাশ^বর্তী রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় বদলি হওয়ায় পূর্বে ইন্টারেনট (ওয়াইফাই) অর্থাৎ ইন্টানেটের সীমের মেগাবাইট (গই) ২ বছরে ২৪০০০/- টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন যাহা অফিসের কাজে এক টাকাও ব্যবহার বা খরচ করা হয়নি। গত ২০১৯-২০২০ সালে অর্থ বছরে পার্বতীপুর উপজেলা সমবায় অফিসের আসবাবপত্র ক্রয় বাবদ অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে টাকা আত্মসাত করেছেন বলে জানা যায়। তানজিম ফার্নিচার ১টি সোকেস, মেসার্স এস,এম ইসলাম ওয়ার্কশপে এ্যাংগেলের রেক তৈরীকৃত ৭-১০-১৯ইং তারিখে উপজেলা সমবায় অফিসার উপজেলা হিসাব রক্ষন অফিসারকে ম্যানেজ করে ১৬৮২০/- টাকা খরচ বাবদ উত্তোলন করেন। তিনি তারাগঞ্জ উপজেলায় ৫/৯/২০১৯ইং তারিখে যোগদান ও পার্বতীপুর উপজেলা ট্রেজারি অফিস থেকে এলপিই গ্রহণ করার পরও ৭-১০-১৯ইং তারিখে পার্বতীপুর উপজেলা সমবায় অফিসার হিসেবে না থাকা সত্তে¡ও এসব টাকাগুলি নিয়মবহিভর্‚তভাবে উত্তোলন করেন। পার্বতীপুর বিভিন্ন আশ্রয়ন প্রকল্পের ৪৪০টি পরিবারের ৮৮ লক্ষ টাকা উন্নয়ন প্রকল্পের আশ্রয়নবাসীদের জন্য ঋণ বরাদ্দ থাকলেও কোন আশ্রয়ন বাসীদের হাতে ঋনের টাকা ইচ্ছাকৃতভাবে বন্টন করেন নাই বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে দক্ষিণ পলাশবাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি মোখলেছুর রহমান ও বাঘাচড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম উপজেলা সমবায় অফিসার শারমিন আখতারের সঙ্গে বহুবার যোগাযোগ করেও ঋণ বরাদ্দের টাকা পায় নাই। উপরোক্ত বিষয়গুলি তথ্য পাওয়ার জন্য পার্বতীপুরের একজন সিনিয়র সাংবাদিক তফশিল ফরম ‘ক’ (বিধি ও দ্রষ্টব্য) তথ্য আইনে সংশ্লিষ্ট অফিসারকে গত ১৪/১১/১৯ইং ও ৮/৬/২০ইং তারিখ এবং শেষে আরও ১টি তথ্য আইনে তথ্য প্রাপ্তির আবেদনপত্র দাখিল করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই তথ্য আইনের উত্তরপত্র দিতে অপরাগত প্রকাশ করেন যাহা তথ্য আইনে তথ্য না দেওয়া গুরুতর অপরাধ। সরকারের বিধিমালায় তথ্য আইনের তথ্য ফরমে তথ্য চাইলে তথ্য না দেওয়ায় এ এক অপরাধ। এতে বুঝতে হবে যে উক্ত সমবায় অফিসার অনিয়মের সঙ্গে জড়িত আছেন বলে সাংবাদিককে তথ্য দিতে অনিহা প্রকাশ করছেন। এসব অনিয়মের বিষয়ে পার্বতীপুর উপজেলা সমবায় অফিসার শারমিন আকতারের বিরুদ্ধে রংপুর বিভাগীয় সাবেক যুগ্ম-নিবন্ধক জনাব আমীর আযমের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি কোন অনিয়মের সুরাহ বা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই। শারমিন আখতার পার্বতীপুর উপজেলা সমবায় অফিসার ৩ বছর থাকাকালে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাত করেছেন। বর্তমানে তিনি পার্বতীপুর থেকে গত ৫/৯/১৯ তারিখে রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলা সমবায় অফিসার হিসেবে যোগদান করেছেন। সেখানে তিনি এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত আছেন বলে তার প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়। তাছাড়া পাশর্বর্তী বদরগঞ্জ উপজেলায় সমবায় অফিসার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে অবাধে অনিয়ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে অনিয়মের বিষয়ে আলাপ আলোচনা করতে গেলে তিনি সদুত্তর দেন নাই। এসব তার অনিয়ম তদন্ত করে রংপুর সমবায় বিভাগীয় যুগ্ম-নিবন্ধক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে সমিতির সদস্যগণ, লোকজন ও বিজ্ঞ মহল জোর দাবী জানাচ্ছেন। বিষয়টি তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সমবায়ের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।