জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৫৩ রানের লক্ষ্য ২ উইকেট হারিয়ে ৭ বল বাকি থাকতেই টপকে যায় সফরকারীরা।বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেন ওপেনার নাঈম শেখ। ৫১ বলে খেলা তার ইনিংসে ছিল ৭টি চার। এছাড়া সৌম্য সরকার ৪৫ বলে ৫০ রান করেন। তার ইনিংসে ২টি ছক্কা ও চারটি চারের মার রয়েছে।
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৫ এবং নুরুল হাসান সোহান ১৬* রান করেন।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৯ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৫২ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা।
বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) হারারেতে টসে জয়লাভ করেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। তিনি বাংলাদেশকে ফিল্ডিংয়ে পাঠান।
বল হাতে শুরুটা দুর্দান্ত করেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। নিজের প্রথম ওভারেই তুলে নেন মারুমানির (৭) উইকেট। দলীয় স্কোর তখন ১০। এরপর ঘুরে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৬৪ রান যোগ করেন মাদিভেরি ও রেগিস চাকাভা। এরপর মাদিভেরিকে (২৩) ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান।
ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠা চাকাভাকে (২২ বলে ৪৩) তুলে নিয়ে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি এনে দেন উইকেট রক্ষক নুরুল হাসান সোহান।
শরীফুলের করা ১১তম ওভারে খেলায় পাল্টা চাপ বিস্তার করে বাংলাদেশ। ওভারের প্রথম বলে চাকাভাকে রান আউট করেন নুরুল। পঞ্চম বলে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা ফিরে যান রানের খাতা খোলার আগেই। তার আউটেও আছে নুরুলের অবদান। খোঁচা মারতে গিয়ে তাকে ক্যাচ দেন রাজা।
বল হাতে উইকেট পেয়েছেন সৌম্য সরকারও। তিনি মুসাকান্দার (৬) উইকেট তুলে নেন। পরের উইকেটটি তুলে নেন শরিফুল। ২২ বলে ৩৫ করা মায়ার্সের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন তিনি। শেষ দিকে লুক জঙ্গউইয়ের (১৮) ব্যাটে ভর করে ১৫২ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের পক্ষে মুস্তাফিজ ৩টি, সাইফউদ্দিন ও শরিফুল ২টি করে এবং সাকিব ও সৌম্য ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
জবাব দিতে নেমে দারুণ শুরু করেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও সৌম্য সরকার। তাদের ওপেনিং জুটিতে ১৩ ওভারে শতরান স্পর্শ করে বাংলাদেশ। তাদের এই জুটিই মূলত জয়ের পথ সহজ করে দেয়।
দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর পর জিম্বাবুয়ে সফরে গেছে বাংলাদেশ দল। পূর্ণাঙ্গ এ সফরে একটি টেস্ট এবং তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলা শেষ করেছে টাইগাররা। টেস্ট এবং ওয়ানডে সিরিজ দাপটের সঙ্গে জিতে নিয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ।