অবশেষে নাতনির দেখা পেলেন পরীমনির নানা শামসুল হক গাজী। বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) নাতনির সঙ্গে দেখা পান তিনি। গত ১০ আগস্ট নাতনিকে দেখতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়েছিলেন পরীমনির নানা শামসুল হক গাজী। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে পরীমনির সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।এদিন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় তৃতীয় দফায় পরীমনির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম শুনানি শেষে তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুনানি শেষে পরীমনি বিচারককে বলেন, আমার নানা ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে চাই। এরপর বিচারক অনুমতি দেন। এ সময় আদালতের এজলাসে উপস্থিত নানা শামসুল হকের সঙ্গে দেখা হয় পরীমনির। নাতনিকে কাঠগড়ায় দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় তিনি কাঠগড়ায় পরীমনির সঙ্গে পাঁচ মিনিট কথা বলার সুযোগ পান। পরীমনির নানার সঙ্গে তার খালাতে ভাই মেহেদী এবং আরেকজন উপস্থিত ছিলেন।তবে তাদের সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে পরীমনির স্বজনরা কিছুই বলেননি। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরীমনিকে আদালত থেকে বিশেষ নিরাপত্তায় নিয়ে যায়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে পরীমনির নানা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হন।
আদালতে কেন এসেছেন জানতে চাইলে পরীমনির নানা বলেন, নাতনির সঙ্গে দেখা করতে এসেছি।
গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে পরীমনিকে আটক করে র্যাব। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে পরীমনির বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক পাওয়ার দাবি করে র্যাব। ৫ আগস্ট র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদকে আসক্ত হওয়ার কথা স্বীকার করেন পরীমনি, দাবি র্যাবের।