বিমানবন্দরে দ্রুত র্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপনের অনুরোধ সুজনের
29, August, 2021, 12:38:38:AM
এম ডি বাবুল চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান
অতিসত্বর দেশের বিমানবন্দরসমূহে র্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপন করতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন। আজ শনিবার (২৮ আগস্ট ২০২১ইং) বিকেল সাড়ে ৪টায় নগরীর জামালখান প্রেসক্লাবে মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত প্রবাসীরা সুজনের সাথে মতবিনিময় করতে আসলে তিনি মন্ত্রীদ্বয়ের নিকট এ অনুরোধ জানান।
এ সময় তিনি বলেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম চালিকাশক্তি হচ্ছে প্রবাসী আয়। বাংলাদেশের শ্রমশক্তির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত রয়েছে। করোনাকালীন সময়ে তারা ছুটিতে দেশে আসলেও শুধুমাত্র বিমানবন্দরসমূহে র্যাপিড পিসিআর টেস্টের ব্যবস্থা না থাকায় তারা স্বস্ব কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারছেন না। এতে করে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন কয়েক হাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী। চাকুরি ছাড়াও প্রবাসে অনেকের ব্যবসা বাণিজ্যও রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা বাণিজ্য দেখাশুনা করতে না পারার কারণে অনেকে আর্থিকভাবেও ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছেন। বিভিন্ন সূত্রমতে প্রায় ৬-৭ হাজার প্রবাসী সংযুক্ত আরব আমিরাতে কাজে ফিরে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। সঠিক সময়ে কাজে যোগদান করতে না পারলে অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে কাজও হারাতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করেন তিনি। এভাবে যদি তারা নিজেদের কর্মস্থলে ফিরে যেতে না পারে তাহলে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে আমাদের অর্থনীতির উপর। অপরদিকে তারা কাজ হারিয়ে দেশের উপর বোঝা হয়ে পড়বে।
এই করোনাকালেও আমাদের রেমিটেন্সের অন্যতম যোগান দাতা আমাদের প্রবাসীরা তাদের হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠিয়ে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করেছে। তাদের দুঃখ লাঘবে সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করোনাকালীন সময়েও যেখানেই টাকার প্রয়োজন হচ্ছে তা খরচ করতে দ্বিধাবোধ করছেন না। তাই প্রবাসীদের বিষয়েও সরকারকে ত্বড়িৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত। ইতিমধ্যে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তান তাদের বিমানবন্দরে র্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপন করে ফেলেছে। এই দুই দেশের প্রবাসীরা তাদের কাজে ফিরে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে অপেক্ষমান প্রবাসীরা যদি সময়মতো কাজে ফিরতে না পারেন তাহলে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সংকুচিত হয়ে পড়বে। যা দখল করে নিবে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলো। অথচ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে না কেউ। র্যাপিড পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য প্রবাসীদের আন্দোলন করতে হচ্ছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে উদ্যোগী হয়ে তাদের পাশে দাড়াতে হবে।
আমাদের দেশের অর্থনীতির প্রাণ রেমিটেন্স যোদ্ধাদের সহায়তা দিয়ে তাদের বাঁচাতে হবে, দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন সুজন। তিনি চট্টগ্রাম থেকে বিদেশগামী সকল ফ্লাইট পূণরায় চালু করারও সবিনয় অনুরোধ জানান। এসময় প্রবাসীরা অভিযোগ করেন বিমানবন্দরসমূহে তারা কোন সম্মান পায়না। বিদেশের দূতাবাসগুলোতে প্রতিনিয়িত হয়রানির পাশাপাশি আগ্রাবাদস্থ জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের সাথে সবসময় খারাপ আচরন করেন। এছাড়া জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে নেই কোন পর্যাপ্ত বিশ্রামাগার কিংবা শৌচাগারের ব্যবস্থা। প্রবাসীদের ফরম কিংবা আনুসাঙ্গিক কাগজপত্র পূরণের জন্য টেবিল কিংবা বেঞ্চের ব্যবস্থা নেই সেখানে। প্রখর রোদে দাড়িয়ে তাদের প্রয়োজনীয় কাজ সারতে হয়।