ময়মনসিংহের ভালুকার পানিবান্ধা গ্রামে রাতের আধারে এক বেকার যুবকের দেড়শতাধিক একাশি ও আকাশ মনির চারা গাছ উপড়ে ফেলেছে দূর্বৃত্তরা।শনিবার দিবাগত রাতে এই ঘটনা ঘটে।
ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী ইউনিয়নের পানিবান্ধা গ্রােমর কৃষকের ছেলে বেকার যুবক ফয়সাল আহম্মেদ ফাইজুল বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে পৈত্রিক ভিটার তিন কাটা জমিতে ৩ মাস আগে ২শত একাশি ও আকাশ মনি গাছের চারা রোপণ করেন।সঠিক পরিচর্চায় অল্প দিনের মধ্যেই গাছ গুলো বেড়ে উঠার সাথে সাথে বেকার ওই যুবক,হৃদয়ে স্বপ গুলোও গভীর হতে থাকে বেকারত্বের অভিশাপ মুছনের। কিন্তু একটি কালো রাত্রি ফাইজুলের সে স্বপ্ন বিলীন করে দিল। শনিবার সকালে তিনি ভিটায় গিয়ে দেখেন,দুর্বৃত্তরা একে একে দেড়শত গাছ উপড়ে ফেলেছেন।স্বপ্ন ভাঙা ভারাক্লান্ত মনে
উপড়ে ফেলা ওইসব গাছের ছবি ও ভিডিও করে স্থানীয় মেম্বার মজিবর রহমান ও উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম পিন্টুকে দেখিয়ে বিচার প্রার্থনা করেছেন।
বেকার যুবক ফাইজুল এর অভিযোগ,তাঁদের শরীক মন্তাজ উদ্দিন এর ছেলে কামরুল ইসলাম (৩৩) জিয়াউর (৩৫)গংদের সাথে ক্রয়কৃত ৬শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে ১১-৭-২১ তারিখে কামরুল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ফাইজুল ও তার মা ফরিদা খাতুন(৫৫) ছোট কলেজ ছাত্র জাহিদুল (২১) কে এলোপাতারী কুপিয়ে গুরুতর আহত করে প্রায় ১ মাস হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে সুস্থ্য হয় তারা।ওই ঘটনায় ৬জনকে আসামী করে ভালুকা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় । পুলিশ কোনো অসামিকে গ্রেফতার করেননি। ৪ আসামী জামিনে এসে ২আসামির সাথে মিলে ফাইজুল এর পরিবারকে হুমকি প্রদান করলে,ফাইজুর ভালুকা মডেল থানায় ১২-৭-২১ তারিখে ৬৬৩নং সাধারণ ডায়রী করেন।
এ ব্যাপারে ভালুকা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো .রফিকুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি ফয়সাল আহম্মেদ ফ্ইাজুল এর পরিবারের ওপর একের পর নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে কথা বলতে মুঠোফোনে কয়েক দফা চেষ্টা করা হলেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার এস আই নজরুল ইসলাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
বিবাদী কামরুল ইসলাম (৩৩) এর সাথে ফোনে কথা হলে তিনি জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনা স্বীকার করলেও গাছ উপড়ে ফেলার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানান।