সফলভাবে শেষ হলো ‘কর্মজীবনের কর্মশালা’র প্রশিক্ষণ। তরুণদের ক্যারিয়ার সম্পর্কে সচেতন করতে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উপ-কমিটির উদ্যোগে এবং সেন্টার ফর রিসার্স অ্যান্ড ইনফর্মেশনের (সিআরআই) সহযোগিতায় ‘কর্মজীবনের কর্মশালা’ এর প্রথম এবং দ্বিতীয় ব্যাচের সফল সম্পন্নকারীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়ন’ বিষয়ক কর্মশালা। একই সাথে শুরু হয়েছে তৃতীয় ব্যাচের রেজিস্ট্রেশন।আগ্রহীরা https://career.albd.org/ ঠিকানায় গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। ১২ এবং ১৩ সেপ্টেম্বর, দুইদিন বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয় কর্মশালা’র মূল আয়োজন। সব অংশগ্রহণকারী মূল অনুষ্ঠানের আগেই জুম প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইনে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
কর্মশালার শুরুতেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উপ-কমিটির সন্মানিত সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা কর্মশালার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি বলেন, যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়টি ক্যারিয়ার এর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আশা রাখি এ প্রশিক্ষণ থেকে সবাই খুবই উপকৃত হবেন। এরপর তিনি সবার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে কর্মশালার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।কর্মজীবনের কর্মশালা আয়োজনটিতে সার্বিক সহযোগিতা করছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্স অ্যান্ড ইনফর্মেশন (সিআরআই)। যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক আয়োজন প্রসঙ্গে সিআরআইয়ের সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ বলেন, যোগাযোগ দক্ষতা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এতটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে এ দক্ষতা না থাকলে কোনো কাজই কেউ সঠিক ও সহজভাবে করতে পারবেন না। এ দক্ষতা অর্জন করে আপনারা যাতে কর্মজীবনে সফল হতে পারেন সেই ইচ্ছা আর চেষ্টা থেকেই আজকের এই আয়োজন।
কর্মজীবনের কর্মশালার শুরু থেকেই যুক্ত আছেন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সুফি ফারুক ইবনে আবু বকর। কর্মশালাটি সম্পর্কে তিনি জানান, সঠিকভাবে যোগাযোগ করতে না পারার কারণে অনেক সুন্দর সুযোগ আমরা হারিয়ে ফেলি। আর নিজেদের ব্যর্থ মনে করে হতাশ হয়ে পড়ি। আজকের এ আয়োজন সেই সব বিষয় লক্ষ্য করেই করা হয়েছে।
কর্মশালার এদিনে অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোহেলী সুলতানা সুমী। তিনি কর্মজীবনে প্রবেশের আগের সময়ে সবার যে মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা তৈরি হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং কী করলে একজন কর্মপ্রত্যাশী ব্যক্তি সব মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা মোকাবিলা করে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন সে বিষয়ে আলোচনা করেন।
যোগাযোগ দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চৌধুরী শোভন রফিক শুভ। অতিথি বক্তা হিসেবে এইদিন উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ। তিনি লিডারশিপ বা নেতৃত্ব কী, কীভাবে লিডার হওয়া যায়, একজন ভালো লিডারের বৈশিষ্ট্য ইত্যাদি নানা বিষয়ে বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেন।
কর্মশালার কার্যক্রমের শেষ পর্যায়ে পরবর্তী কার্যক্রম প্রসঙ্গে তন্ময় বলেন, তৃতীয় ব্যাচের প্রাথমিক কাজ চলছে। খুব শিগগিরই আমরা তৃতীয় ব্যাচ শুরু করতে পারব। আমাদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া আবারও উন্মুক্ত করা হয়েছে। যারা রেজিস্ট্রেশন করতে আগ্রহী তারা এখন রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন।