মানুষের বিরোধের বলি হল দুই শতাধিক কলাগাছ। রাতের আধারে কেটে মাটিতে ফেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরের গোবরিয়া আবদুল্লাহ পুরের জগৎচর গ্রামে।
এমন অমানবিক কর্মকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন বৃদ্ধা হালিমা বেগম, কাইয়ুম মিয়া ও জহিরুল ইসলাম নামের তিন বর্গাচাষি। এই অবস্থায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, ভাটি জগৎচর উত্তর পশ্চিম পাড়া গ্রামের ইমাম উদ্দিন ও খরম আলী ও মিজান মিয়ার কাছ থেকে কৃষাণী হালিমা আক্তার ও দুই কৃষক কাইয়ুম ও জহিরুল ইসলাম ভাড়া নিয়ে কলার চাষ করে। এরইমধ্যে কলাগাছ বড় হয়ে সবে ফলন আসতে শুরু করেছে। তবে, জমির মালিকের সাথে একই গ্রামের মেজু মিয়ার বিরোধ ছিল। যা গড়ায় আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
আদালত থেকে সমন পাশ হওয়ার দিন সেই রাতেই দুই বিঘা জমির দুই শতাধিক কলাগাছ কেটে ফেলে দেওয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে এই বিরোধের জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছ।
কৃষাণী হালিমা আক্তার (৬০) বলেন, ‘গত বছর ৭০ হাজার টাকা দিয়ে এই জায়গাটি ভাড়া নিয়ে আমি কলার চাষ করেছি। এই কলা বাগানে আমি নিজে দিন-রাত পরিশ্রম করে চাষ করে আসছি। গাছে ফলন ধরতে শুরু করেছিলো, কিছু দিন পর থেকে বিক্রি করতে পারতাম। কিন্তু রাতে অন্ধকারে কে বা কারা আমার এই সর্বনাশ করেছে আমি জানি না। আমি এর বিচার চাই।’ তিনি বলেন, ‘আমিতো জমি ভাড়া নিয়ে চাষ করেছি, আমার সাথে কেনো এমন শত্রুতা?’
এই বিষয়ে কৃষক মো. কাইয়ুম (৩৮) ও জহিরুল ইসলাম (৩৫) বলেন, আমরাও জমি ভাড়া নিয়ে এখানে কলার চাষ করি। কিন্ত গত রাতে কারা যেন আমাদের স্বপ্ন সব মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে। আর কয়েকটা দিন গেলেই আমরা কলা বিক্রি করতে পারতাম, এমন সময় আমাদের এত বড় ক্ষতিটা করে কার কী এমন লাভ হলো আমরা জানি না। আমরা এর বিচার চাই।
কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ সুলতান মাহমুদ বলেন, আমি ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি।এখনও কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ হাতে আসলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।