ময়মনসিংহের ভালুকায় এক নৈশ প্রহরীর হাতে খুন হয়েছেন মাসুদ মিয়া(৩৫) নামের অপর এক নৈশ প্রহরী। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের পাড়াগাঁও গ্রামে অবস্থিত রানার অটো মটরস লিমিটেডে নামের এক কারখানায় খুনের ওই ঘটনাটি ঘটে। নিহত মাসুদ মিয়া নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা গ্রামের মৃত সাদে আব্বাস মীরের ছেলে। খবর পেয়ে ওই খুনের সাথে জড়িত শিশির সাংমাকে(৫০) আটক করে শিল্প পুলিশের একটি দল। শিশির সাংমা একই জেলার দূর্গাপুর উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের স্বর্গীয় কায়তু চিচাংয়ের ছেলে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ বৃহষ্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কর্মস্থলের ডিউটি নিয়ে উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামে অবস্থিত রানার অটো মটরস লিমিটেডের নৈশ প্রহরী মো: মাসুদ মিয়া ও নৈশ প্রহরী শিশির সাংমার মাঝে আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে কর্তব্য পালন অবস্থায় গায়ে টর্চের আলো ফেলা নিয়ে শিশির সাংমা ও মাসুদ মিয়ার মাঝে কথা কাটাকাটি ও মারামারির ঘটনার একপযার্য়ে মাটিতে লুটিয়ে পরেন মাসুদ মিয়া। খোঁজ পেয়ে অন্যান্য সহকর্মী ও শ্রমিকগণ মাসুদ মিয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে মাথায় পানি ঢালে। তবে, কিছুক্ষন পর মারা যান মাসুদ। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ শিশির সাংমাকে আটক এবং নিহতের লাশ উদ্ধার করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশে হস্তান্তর করে। শিল্প পুলিশ-৫ ময়মসিংহ জুনের এএসপি কাজী সাইদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার ও শিশির সাংমাকে আটক করে। ভালুকা মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাহামুদুল ইসলাম জানান, ময়মনা তদন্তের জন্যে নিহতের লাশ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে, মামলার প্রস্তুতি চলছে।