পার্বতীপুরের ছাত্র দলের সভাপতি নৌকার প্রার্থী হওয়ায় ক্ষুদ্ধ ও বিভাজিত তৃণমুল আওয়ামীলীগ
2, November, 2021, 7:07:37:PM
দিনাজপুর প্রতিনিধি: পার্বতীপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাবেক ছাত্র দলের সভাপতি ও নব্য আওয়ামীলীগ সদস্য কে ভোটের আগেই ভোট পদ্ধতিতে কৌশলে নৌকার প্রার্থীতার সুযোগ করে দেওয়ায় তৃণমুল নেতা কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ, উত্তেজনা ও বিভাজন দেখা দিয়েছে। দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার ১০ নং হরিরামপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোজাহিদুল ইসলাম সোহাগ বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদী ছাত্র দল এর ইউনিয়ন সভাপতি ছিলেন। যার প্রাথমিক সদস্য ফরম নং- ২৪৮। এমন কি তার বাবা প্রায়ত মফিজ উদ্দিন সাবেক চেয়ারম্যান ১৯৭৭ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে সেই সময়ের ১১ নং হরিরামপুর ইউনিয়নের (বর্তমানে ১০ নং) বিএনপি দলের সভাপতি ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে মোজাহিদুল সোহাগ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এ যোগদান করে নব্য সুবিধাবাদী অনুপ্রবেশকারী আওয়ামীলীগ হিসেবে আলোচনায় আসেন এবং বিগত ইউপি নির্বাচনের বিদ্রোহী গ্রæপের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে মুল ধারার আওয়ামীলীগ দের থেকে বিভাজনে জড়িয়ে পড়েন। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর প্রবীণ সভাপতি শাহ্বুদ্দীন শাহ্ এবং চলমান সময়ের নৌকা প্রতীকের বিজয়ী চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান শাহ সহ অনেক নেতা কর্মী ছাত্র দল সভাপতি সোহাগ এর প্রার্থীতা বাতিলের জোর দাবী তুলেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রতি নিয়ত নির্দেশনা দিচ্ছেন নবাগত ও সুবিধাভোগী অনুপ্রবেশ কারীদের নাম কোন অবস্থাতেই মনোনয়নের জন্য কেন্দ্রে পাঠানো যাবে না। অথচ ১০ নং হরিরামপুর ইউনিয়নের ক্ষেত্রে মাননীয় মন্ত্রীর নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে মর্মে মুল ধারার তৃণমুল আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা মনে করেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কে সামনে রেখে উপজেলা আওয়ামীলীগ সার্চ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি ২৭/১২/২০২০ইং তারিখে ইউনিয়নের বর্ধিত জনসভায় আওয়ামীলীগ মনোনয়ন প্রত্যার্শী দের নিয়ে আলোচনায় বির্তকীত প্রার্থীর নাম কেন্দ্রে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। হঠাৎ করে সার্চ কমিটি বিলুপ্ত করে ভোটের আগে ভোট পদ্ধতিতে প্রার্থীতা বাচাই এ গত ২৮/১০/২০২১ ইং তারিখে ১০ নং হরিরামপুর ইউনিয়নের তৃণমুল ভোট গ্রহণ সাপেক্ষে নৌকার প্রার্থীতা চুড়ান্ত করা হয়। এতে নব্য আওয়ামীলীগ সোহাগ অংশগ্রহণ করার প্রতিবাদে ইউনিয়ন সভাপতি শাহ্বুদ্দীন শাহ্ বর্তমান নৌকার চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান শাহ সহ অনেকেই প্রার্থী নির্বাচন ও ভোট বর্জন করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রবীণ আওয়ামীলীগ ভক্ত বলেন, শাহ্বুদ্দীন শাহ্ দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি পদে থাকলেও নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে ধরে রাখতে পারেন নি,তিনি শুধু বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সভাপতির আসন গ্রহণ ও দলীয় আমিত্ব ভাব নিয়েই ব্যস্থ ছিলেন। আওয়ামীলীগ দলীয় চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান শাহ ২৮ বছরের লাগাতার চেয়ারম্যান কে পরাজিত করে নৌকা প্রতীক এ বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন, তবে আওয়ামীলীগের তৃণমুল নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ও তার শুভাকাঙ্খিদের মাঝে দুরত্ব মোজাহিদুল সোহাগ কে এগিয়ে দিয়েছে। সচেতন মহল মনে করেন, দলে যারা ডিগবাজি খায় জনগণ তাদের প্রত্যাক্ষান করেন। এ কারণে অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিডদের বাদ দিয়ে নির্বাচন মুখী প্রকৃত আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দিলে এই ইউনিয়নে নৌকার ভরা-ডুবি রোধ করা সম্ভব। প্রয়োজনে দলীয় বিভক্তি রোধ করতে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলার মতো উন্মুক্ত মার্কা পদ্ধতির জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর শুভদৃষ্টি প্রত্যাশা।