আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি: গরুর বাচ্চাকে কুপিয়ে আহত করায় ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ৬ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত চারজনকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার রাতে আমতলী উপজেলার গাজীপুর গ্রামে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার গাজীপুর গ্রামের আয়জুদ্দিন হাওলাদার ও প্রতিবেশী ইউনুস ঢালীর মধ্যে ৫০ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। শুক্রবার রাতে আয়জদ্দিন হাওলাদারের জমির মধ্যে ইউনুস ঢালীর একটি বাচ্চা গরু প্রবেশ করে। ওই গরুর বাচ্ছাকে আয়জদ্দিন হাওলাদারের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে এমন অভিযোগ ইউনুস ঢালীর। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই সময় আয়জদ্দিন হাওলাদার ও ইউনুস ঢালীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ছয় জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত আয়জদ্দিন হাওলাদার, ইউনুস ঢালী, জহুরা বেগম ও তাসলিমাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুুলিশ ঘটনা তদন্ত করছে। আহত ইউনুস ঢালী বলেন, আমার গরুর বাচ্চা আয়জদ্দিন হাওলাদারের জমিতে প্রবেশ করলে গরুর বাচ্চাটিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনা জানতে আয়জদ্দিন হাওলাদারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় আমাকে, আমার স্ত্রীকে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আয়জদ্দিন হাওলাদারের স্ত্রী তাসলিমা বেগম মারধরের কথা স্বীকার করে বলেন, আমাদের ফাঁসালে ইউনুস ঢালী নিজের গরুর বাচ্চাকে নিজেই কুপিয়ে নাটক করছে। তিনি আরো বলেন, ইউনুস ঢালী আমাকে এবং আমার স্বামীকে মারধর করেছে। আমতলী থানার ওসি একে এম মিজানুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনা তদন্তে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত অনুসারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।