গত ০৪/১১/২০২১খ্রিঃদিবাগত রাত্রীতে নবাবগঞ্জ থানার ৬ নং ভাদুরিয়া ইউনিয়নের অর্ন্তগত নির্শা কাজলদীঘি হাফিজুর রহমান পিতা-মৃত আহাদ আলীর এর বসতবাড়ীতে একটি ডাকাতি সংঘটিত হয় এবং গৃহকর্তা হাফিজুর রহমান(৭৫) এবং গৃহকর্তী ফেন্সীয়ারা বেগম অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের হাতে খুন হন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মৃতের কনিষ্ঠপুত্র মোঃ আব্দুল মালেক( ২৩) এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে নবাবগঞ্জ থানায় জোড়া খুনসহ ডাকাতি মামলা নং ০৩ তারিখ-০৬/১১/২০২১খ্রিঃ ধারা-৩৯৬/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। দিনাজপুর জেলা পুলিশ প্রধান পুলিশ সুপার ঘটনাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে নিয়ে সার্বক্ষনিক নিবিড় তদারকি ও নির্দেশনা দেন। সেই নির্দেশনার প্রেক্ষিতে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ, দিনাজপুর ডিবি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এন্ড অপস), সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, বিরামপুর সার্কেলসহ একাধিক পুলিশ টিম কাজ করে গত ১০/১১/২১খ্রিঃ মামলার ঘটনাটি উদঘাটিত করতে সমর্থ হয়। মামলার ঘটনার পর হতে মৃত হাফিজুর রহমান এর পুত্র মোঃ আব্দুল মতিন মিঠু(৫০) এর আচরণে সন্দেহের সুত্র ধরে পরবর্তীতে বিজ্ঞান ভিত্তিক তদন্তের সহায়তায় মামলার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ০২ জন ১) মোঃ রাজন মিয়া(২৫) পিতা-মোঃ রাজা মিয়া গ্রাম-ধরঞ্জী থানা-নবাবগঞ্জ জেলা-দিনাজপুরকে দিনাজপুর সরকারী কলেজ মোড় এবং ২। মোঃ উজ্জল হোসেন(২৫) পিতা-মোঃ এনামুল হক উভয়ের গ্রাম-ধরঞ্জী থানা-নবাবগঞ্জ জেলা-দিনাজপুরকে দাউদপুর এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্য মতে মামলার ঘটনাটি উদঘাটিত হয় এবং একই দিনে মৃতের পুত্র মোঃ আব্দুল মতিন মিঠু(৫০)কেও গ্রেফতার করা হয়। মৃত হাফিজুর রহমান এর পুত্র গ্রেফতারকৃত আসামী মিঠু তার বাবার হেফাজতে থাকা জমির দলিল চুরি করার জন্য তার ফুপাতো ভাই সুলতান মাহমুদ এর সাথে এই মর্মে পরিকল্পনা করে যে তার বাবার কাছে থাকা জমির দলিল এনে দিবে বিনিময়ে বাড়ীতে থাকা টাকা নিবে। পরবর্তীতে সেই পরিকল্পনা মতে সুলতান মাহমুদ তার সহযোগীদের নিয়ে একাধিকবার চেষ্টার পর ঘটনার দিন আসামীরা প্রাচীর টপকে বাড়ীতে প্রবেশ করে ডাকাতির প্রাক্কালে গৃহকর্তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে প্রথমে তাকে হত্যা করে এবং পরবর্তীতে গৃহকর্তীকেও হত্যা করে এবং লুন্ঠিত টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যার যার মতো চলে যায়। এই ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের সনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।