মাটির সাথে ছাই মিশিয়ে ইট ভাটার মালিকদের কাছে কয়লা হিসেবে বিক্রয় করছে খনি এলাকার প্রতারকেরা॥
17, November, 2021, 4:02:24:PM
মোঃ আফজাল হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি পার্বতীপুর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এলাকায় মাটির সাথে ছাই মিশিয়ে ইট ভাটার মালিকদের কাছে কয়লা হিসেবে বিক্রয় করছে খনি এলাকার প্রতারকেরা, ইট ভাটার মালিকদেরকে ফাঁকি দিয়ে ফায়দা লুটছে। দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কয়লা বিক্রয় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এলাকার কিছু প্রতারক কয়লা খনির মূল ড্রেন ফুটো করে পানি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে নিজের জমিতে নিয়ে যাচ্ছে। সেখানে দুই চার মাস পর জমা হচ্ছে কয়লা খনির ভূগর্ভ থেকে উঠে আসা কিছু কয়লার ময়লা। সেই ময়লা চার পাঁচ মাস পর এলাকার কতিপয় ব্যক্তি জমি থেকে উত্তোলন করে রৈদ্রে শুকিয়ে জমি চাষ করা পাওয়ারটিলার দিয়ে চাষ করে ধুলো বানিয়ে সেই ডাস্টএর সাথে ছাই ও কালো মাটি মিশিয়ে ইটভাটার মালিকদের কাছে ১০ থেকে ১২ হাজার এমনকি ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতিটন ডাস্ট বিক্রি করছে এলাকার কতিপয় প্রতারক। এতে এলাকায় পরিবেশের চরম ক্ষতিসাধন হচ্ছে। বাসা বাড়ীগুলিতে কয়লার ডাস্টের ধুলায় অনেকে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। কারও কথা কেউ শোনেনা। এই ডাস্টের সাথে মাটি মিশিয়ে কয়লা হিসেবে বিক্রিকরে অনেকে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মূল ট্রেন ফুটো করে কয়লা মিশ্রিত পানি তাদের জমিতে নিয়ে গিয়ে তারা ঐ ডাস্ট বিক্রিকরে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছে। খনি কর্তৃপক্ষ মূল ড্রেনের ফুটোগুলো বন্ধ করার ব্যাপারে কোন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে না। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এলাকার ঐ সব লোকজন চুটিয়ে ব্যবসা করছে। বর্তমান ঐ এলাকায় ধুলো বালিতে এবং কয়লার ময়লায় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েচে। ইট ভাটার মালিকদেরকে ফাঁকি দিয়ে প্রতারনা করে কয়লা হিসেবে ছাই বিক্রি করছে। এতে এলাকার প্রকৃত কয়লা ব্যবসায়ীরা এদের অত্যাচারে তাদের ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ইট ভাটার মালিকেরাও বুঝতে পারছে না যে কোনটা কয়লা আর কোনটা ছাই। এ বিষয়ে কয়লা খনি এলাকার কয়েক জন কয়লা ব্যবসায়ী জানান, কতিপয় দূর্নীতিবাজ কয়লা বিক্রেতাদের দূর্নীতির কারণে আমরা প্রকৃত কয়লা ব্যবসায়ীরা কয়লা বিক্রি করতে পারছিনা। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।