মিরপুরে তৃতীয় টিটোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। তবে মাঠে নামার আগেই টাইগারদের পরিচ্ছদ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দলের টিটোয়েন্টি জার্সি দেখে খুশি নন কেউই। সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জার্সিতে `বাংলাদেশ` নামের ওপরে বড় করে পৃষ্ঠপোশক দারাজের নাম লেখা, তার ওপরেও বাম দিকে দারাজ লেখা। নেটিজেনদের মতে পুরো জার্সি জুড়ে দারাজের আড়ালে চলে গেছে বাংলাদেশ।
এই জার্সি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তরা। চিকিৎসক ও উপস্থাপক আব্দুন নুর তুষার নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে এই জার্সিকে `কুরুচি টু দ্য এক্সট্রিম` বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি লিখেছেন,
"রূচীহীন কুৎসিত ও জঘন্য এই বিজ্ঞপ্তি ওয়ালা জার্সি বিজ্ঞাপনদাতাদের অখাদ্য মানসিকতার প্রকাশ। পারলে শরীরে ট্যাটু করতো মনে হয়। গলার নিচে ডিজাইন দেখেন। শেফ এর এপ্রন কেটে দিয়েছে মনে হয়। একহাতে হাংরিনাকিও আছে। তার চেয়েও জঘন্য নয়শ কোটির মালিক বোর্ড। এই জার্সি তারা কেন গ্রহন করে? কি বিশ্রীভাবে এখানে স্পন্সরের নাম লেখা। সামনে দুবার? কেন? এই প্রতিষ্ঠানের কুকীর্তির ইনভেস্টিগেশন চলছে আর তখনি এটা ক্রিকেটের জার্সিতে। ইভ্যালিও ছিলো। চুরিমুরির তদন্ত চলা কোম্পানি ছাড়া বোর্ড আর স্পন্সর পায় না। এই কোম্পানি নাকি বেআইনী গেম কার্ড বেচতো আর বেআইনী প্রিলোডেড ক্রেডিট কার্ড? এই জার্সি নিজেই ট্রল। কুরুচি টু দ্য একস্ট্রিম।"
গীতিকার রবিউল ইসলাম জীবন লিখেছেন, "যাদের বুদ্ধিতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এই জার্সিটি করা হয়েছে, একই জার্সিতে তিনবার একই স্পন্সর প্রতিষ্ঠান নাম লেখা হয়েছে, এমনকী বাংলাদেশের নামের আগে তাদের নাম যোগ করে `দেশের নাম পরিবর্তন` করা হয়েছে, আল্লাহপাক তাদের বিচার করুক। জার্সির ডিজাইন এবং তাদের এই রুচিবোধ দেখে আমি লজ্জায়-কষ্টে মরে যাচ্ছি! তাদের কি একটুও লজ্জা করলো না? এই কুরুচিপূর্ণ কাজটি দেখে একটুও খারাপ লাগলো না?"