বীরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত জেরে ৬ জন আহত, অনাকাংক্ষিত ঘটনার আশংকা
24, November, 2021, 12:05:32:AM
দিনাজপুর প্রতিনিধি ঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পৌর শহরের প্রানকেন্দ্রে মুজাম চৌধুরীর জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ২ পক্ষের ৬ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। অনাকাংক্ষিত ঘটনার আশংকা করছে এলাকাবাসী। বীরগঞ্জ পৌর শহরের প্রানকেন্দ্র ১নং ওয়ার্ড ডাক্তারখানার মাঠ সংলগ্ন মরহুম মোজাম্মেল হক ওরফে মুজাম চৌধুরীর পুত্র মারুফ হুসাইন ইমন চৌধুরী তার সীমানার ভিতরে ২৩ নভেম্বর প্রাচীর নির্মান কালে প্রতিপক্ষ আজিম বিহারীর পরিবারের লোকেরা বাধা দিলে ২ পক্ষের ৬ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ২৪ নভেম্বর ইমন চৌধুরী জানায়, তার পিতা আব্বাস আলীর পুত্র মোজাম্মেল হক পৌর শহরের জেএল- ১৬৮, খতিয়ান- ৬৭ ও ২৩ এর ১২১৮, ১২১৯ ও ১২২১ দাগের জমি ১৯৭৭ সালে উপজেলা আওয়ামীলীগের তৎকালীন সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুল খালেকের স্ত্রী হাসনা বেগম, পুত্র খালেদ হাবিবের কাছে ৬৪ ও নুরুল ইসলাম চৌধুরী গংদের ৩৩ শতক জমি সহ ৯৭ শতক জমি ক্রয় করে ভোগদখল অবস্থায় গত ২০০৭ সালে মৃত্যুবরন করেন। তিনি মারা যাওয়ার পূর্বে ১৯/১২/২০০২ সালে ৬৪ শতক জমি তাকে রেজিষ্ট্রি করে দেয়। বাকি অংশ জমি ওয়ারীশদের কাছে রয়েছে। যাহা সম্পুর্ন সে নিজে দেখাশুনা করেন। যার হালসন খাজনা খারিজ পরিশোধ রয়েছে। জমিগুলি এসএ রেকডিও মালিক নাসির উদ্দিনের পুত্র আজিম মিয়া অরফে আজিম বিহারী ও রাফাতুল্লার পুত্র তমিজ উদ্দিন চৌধুরী। আজিম বিহারী ও তার পরিবারের লোকেরা প্রকৃত জমির মালিকদের মৃত্যুর পরে মালিকানা দাবী করে হায়রানী করাই তাদের কাজ। আজিম বিহারীর ৮২ শতক জমি ১৯৭২ সালে আব্দুল খালেক গংদের কাছে বিক্রয় করে। ৩০/০৯/১৯৯১ সালে আব্দুল খালেক মৃত্যুবরন করলে ২০০০ সালে আজিম বিহারী মালিকানা দাবী করে আদালতে মামলা করেন, যাহা পরে নথিজাত করা হয়। আজিম বিহারী ২৪/০৫/২০০৪ সালে ও আমার পিতা মোজাম্মেল হক ০৭/১০/২০০৭ সালে মৃত্যুবরন করেন। ১৯৭৭ সালে ক্রয়কৃত ও ভোগ দখলিয় জমিটি আমার পিতার মৃত্যুর ১৪ বছর পরে আজিম বিহারীর ছেলে কাজী আবেদ গংরা দখলের পায়তারা করছে। আইনগত ভাবে জমিটি পেতে হলে পূর্বে আব্দুল খালেক গংদের দলিল বাতিল করতে হবে। তা না করে বাড়ীর মহিলা ও লাঠি দিয়ে অনাকাংক্ষিত ভাবে হামলা চালিয়ে অনাকাংক্ষিত ঘটনা ঘটানোর পায়তারা করছে। তাদের হামলায় বাড়ী ভাটিয়া মিল্টন ও আরিফ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শুধু মাত্র হামলার জন্যই সম্প্রতি তারা আমাদের প্রাচীর ভেঙ্গে আমাদের জমিতে আসা যাওয়ার একটি সরু রাস্তা তৈরী করেছে। ইমন চৌধুরী এলাকাবাসী ও সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাষনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। অপর দিকে আজিম বিহারীর পুত্র আবেদ আলী কাজী জানায়, আমার পিতা নাসির উদ্দিনের পুত্র আজিম মিয়া অরফে আজিম বিহারী এসএ রেকডিও মালিক। তিনি বাংলা লিখা জানতেন না, উর্দ্দূতে স্বাক্ষর করতেন, মুজাম চৌধুরীর দলিল গুলি ভুয়া। প্রাচীর নির্মানে বাধা দেওয়ায় তাদের লাঠিয়াল বাহিনীর হামলায় আমাদের পরিবারের মহিলা সহ ৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বীরগঞ্জ থানার এসআই আকবর আলী জানায়, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে তারা ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। দু পক্ষরই অভিযোগ থানায় নেওয়া হয়েছে।